টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর ম্যাচে সোমবার ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় ঢাকা। বরিশালের রান তাড়ায় দুই বার সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে তেড়ে যান মুশফিক।
প্রথমটি ঘটে ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে। নাসুমের বল শর্ট মিড উইকেটে ঠেলেই দ্রুত একটি রান নেন আফিফ হোসেন। বোলার ও কিপার, দুজনই ছুটে যান বল ধরতে। মুশফিক আগে পৌঁছে বল ধরেই হাত বাড়িয়ে মারের ভঙ্গি করেন নাসুমের দিকে। দূর থেকে তার হাতের ইশারা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, বোলারকে তিনি বলছিলেন স্টাম্পের পেছনে থাকতে। যদিও বল গিয়েছিল ফাঁকা জায়গায়, যেখানে বোলারের ছুটে যাওয়া ছিল খুবই স্বাভাবিক।
দ্বিতীয় ঘটনা সপ্তদশ ওভারে। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন আফিফ হোসেন। মুশফিক শর্ট লেগের দিকে ছুটে গিয়ে গ্লাভসে বন্দি করেন বল। শর্ট ফাইন লেগেই ফিল্ডার ছিলেন নাসুম। তিনি ক্যাচ নিতে ছুটে এলেও শেষ পর্যন্ত মুশফিককেই সুযোগ দেন, খুব একটা কাছাকাছি যাননি বা মুশফিকের জন্য বাধার সৃষ্টি করেননি। কিন্তু এবারও মুশফিক ক্যাচ নিয়েই নাসুমের গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন। মুশফিকের হাত ছুটে আসছে ভেবে তাৎক্ষনিকভাবে মুখ সরিয়ে নেন নাসুম।
এরপরই অবশ্য নাসুম হাত বাড়িয়ে মুশফিককে ধরে দুঃখপ্রকাশের ভঙ্গি করেন। মুশফিকও স্বাভাবিক হওয়ার আচরণ করেন।
এই দুই ঘটনা ছাড়াও আরও কয়েকবার বোলারদের বাজে ডেলিভারিতে বা ফিল্ডারদের ভুলের পর বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ফুটে উঠেছে মুশফিকের আচরণে। মুহূর্তের উত্তেজনায় সেটা অস্বাভাবিকও নয়। তবে সতীর্থের গায়ে হাত তুলতে যাওয়া, দেশের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হয়ে, এমন কিছু বিস্ময়কর এবং প্রায় নজিরবিহীন।