ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে ইনিংস ও ১২ রানে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড।
এই প্রথম কিউইরা টানা দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারাল ক্যারিবিয়ানদের। আগের টেস্টে তাদের জয় ছিল ইনিংস ও ১৩৪ রানে।
এই দুই দেশের লড়াইয়ে টানা দুটি ইনিংস জয়-পরাজয়ের ঘটনা আগে ছিল একবারই। সেই ১৯৫৬ সালে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দেশের মাটিতে হলেও কিউইদের কৃতিত্ব বেড়ে যাচ্ছে আরেকটি জায়গায়। দুই টেস্টেই ঘাসে ভরা উইকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করেও ইনিংস ব্যবধানে জিতল তারা।
পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টানা ১৫ টেস্ট অপরাজিত থাকল নিউ জিল্যান্ড। সবশেষ তারা হেরেছিল ২০১৭ সালের মার্চে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়েলিংটনে।
সিরিজ থেকে পূর্ণ ১২০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিজেদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে কিউইরা।
বেসিন রিজার্ভে সোমবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইয়ের সম্ভাবনা জোর ধাক্কা খায় সকালেই। আগের দিনের ৬০ রানের সঙ্গে আর ১ রান যোগ করেই জেসন হোল্ডার বোল্ড হয়ে যান টিম সাউদির দারুণ এক ডেলিভারিতে।
অভিষিক্ত জশুয়া এরপর সামর্থ্যের ছাপ রেখে লড়াই চালিয়ে যান। প্রথম ফিফটির স্বাদ পান এই কিপার-ব্যাটসম্যান ৭৭ বলে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২ বলে ২৪ রান করে কিছুটা বিনোদন দেন আলজারি জোসেফ।
কিন্তু ফলো-অন এড়ানো হয়ে ওঠেনি। সাউদি ও নিল ওয়্যাগনার ভাগাভাগি করে নেন শেষ ৪ উইকেট।
ক্যারিয়ার সেরা ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হেনরি নিকোলস। দুই টেস্টে ১১ উইকেট নিয়ে ও প্রথম টেস্টে দারুণ ফিফটি করে সিরিজের সেরা হয়েছেন মাত্র দ্বিতীয় সিরিজ খেলতে নামা কাইল জেমিসন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৪৬০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ১৩১
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : (ফলো অনের পর) (আগের দিন ২৪৪/৬) ৭৯.১ ওভারে ৩১৭ (জেসন হোল্ডার ৬১, জশুয়া ৫৭, জোসেফ ২৪, শেমার হোল্ডার ১৩*, গ্যাব্রিয়েল ০; সাউদি ২২-২-৯৬-২, বোল্ট ২১-৩-৯৬-৩, জেমিসন ১৫-৪-৪৩-২, ওয়্যাগনার ১৭.১-৪-৫৪-৩, মিচেল ৪-০-২০-০)।
ফল : নিউ জিল্যান্ড ইনিংস ও ১২ রানে জয়ী
সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ২-০তে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : হেনরি নিকোলস
ম্যান অব দা সিরিজ : কাইল জেমিসন