গত ২৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান মুমিনুল। পরে স্ক্যান করিয়ে ধরা পড়ে চিড়। সিদ্ধান্ত হয় অস্ত্রোপচারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরকে ভাবনায় রেখেই দ্রুত অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে হয়ে যায় অস্ত্রোপচার। রোববার মুমিনুল ফেরেন দেশে।
অস্ত্রোচার করানোর আগে শঙ্কার মেঘ একটু ছিল মুমিনুলের মনে। দেশে ফেরার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন, দুর্ভাবনার কালো মেঘ সরে গেছে অনেকটাই।
“ এখন খুব ভালো আছি, কারণ অপারেশন খুব ভালো হয়েছে। খুব স্পর্শকাতর ছিল ইনজুরিটা, যে জায়গায় লেগেছে, ব্যাটিংয়ের জন্য ওটার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটু টেনশন ছিল। তবে খুব ভালোভাবেই শেষ হয়েছে সব।”
“ যদিও মাত্র তিন দিন হলো, তার পরও মনে হচ্ছে, রিকভারি দ্রুত হচ্ছে। কিছুদিন সাবধান থাকতে হবে, ড্রেসিং করাতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।”
দুবাইয়ে চিকিৎসক যে ধারণা দিয়েছেন মুমিনুলকে, তাতে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে আরও পরিষ্কার করে বোঝা যাবে সময়ের সঙ্গে। কত দ্রুত সেরে উঠছেন তিনি, ব্যথা কতটা থাকছে, ফিজিওথেরাপির সময় কীভবে সাড়া দেয় আঙুল, এসব কিছুর ওপরে নির্ভর করবে তার ফেরার সময়।
দুবাইয়ের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিসিবির মেডিকেল বিভাগ মুমিনুলের মাঠে ফেরার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ফেলবে। আঙুলের চোট হওয়ায় কিছু ফিটনেস ট্রেনিং মুমিনুল চালিয়ে যেতে পারবেন কদিন পর থেকে। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে যেতে হবে।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে গেলেও তার দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের খবর তিনি রেখেছেন নিয়মিতই। ৮ ম্যাচে ৭ জয়ে ফাইনালের লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম। দলের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও লিটন দাস দারুণ খেলছেন। মিডল অর্ডার অবশ্য খুব ভালো করতে পারেনি, কঠিন পরীক্ষাও তাদের দিতে হয়েছে কম।
তবে এটির ইতিবাচক দিকও দেখছেন মুমিনুল। দলের জন্য শুভ কামনা জানালেন তিনি।
“ সৌম্য-লিটন আশা করি ফর্ম ধরে রাখবে। মিঠুন, মোসাদ্দেকরা রান পায়নি ততটা। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে, ওদেরটা জমা আছে। নিশ্চয়ই সামনে ভালো খেলবে! মুস্তাফিজ-শরিফুল দুর্দান্ত বোলিং করছে। আশা করি চট্টগ্রাম বাকি ম্যাচগুলিতেও এভাবে দারুণ খেলবে।”