ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই এখন মূলত ইনিংস পরাজয় এড়ানোর। প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর রোববার তৃতীয় দিন শেষে তাদের রান ৬ উইকেটে ২৪৪। ইনিংস হার এড়াতে প্রয়োজন আরও ৮৫ রান।
জেসন হোল্ডার অপরাজিত ৬০ রানে। অভিষিক্ত কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভার সঙ্গে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের অবিচ্ছন্ন সপ্তম উইকেট জুটির রান ৭৪। আলো পর্যাপ্ত না থাকায় দিনের খেলা শেষ হয় ১৭.২ ওভার আগে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় দিন শুরু করে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে। আর ৭ রান যোগ করেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।
শেষ দুটি উইকেটই নিয়ে টিম সাউদি পূরণ করেন ৫ উইকেট, টেস্টে যা তার একাদশ। আগের দিন কাইল জেমিসন নেন ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হয় ক্যারিবিয়ানদের। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল উদ্বোধনী জুটিতে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান।
টানা স্পেলে ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে সফলতা পান ট্রেন্ট বোল্ট। একটি নয়, বাঁহাতি পেসার দলকে এনে দেন জোড়া উইকেট। ব্র্যাথওয়েটকে ২৪ রানে আউট করার দুই বল পর তিনি ফেরান তিনে নামা ড্যারেন ব্রাভোকে।
তৃতীয় উইকেটে ক্যাম্পবেল ও শামার ব্রুকস গড়েন ৮৯ রানের জুটি। ক্যাম্পবেল ফিফটি স্পর্শ করেন ৮১ বলে। একাদশ টেস্টে তার মাত্র দ্বিতীয় ফিফটি এটি।
৩৬ রানে ব্রুকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নিল ওয়্যাগনার। সেখান থেকে সূচনা মিনি ধসের। রোস্টন চেইসকে ম্যাচে দ্বিতীয় শূন্য উপহার দেন জেমিসন। তার পরের ওভারেই বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে ৬৮ রানে থামেন ক্যাম্পবেল।
৪ রানের মধ্যে ক্যারিবিয়ানরা হারায় ৩ উইকেট। এরপর হোল্ডারের প্রতিরোধ পর্ব। শুরুতে জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে নিয়ে কিছুটা এগিয়ে যান তিনি। ২০ রানে ব্ল্যাকউডের বিদায়ের পর ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের সঙ্গ জশুয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৬০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১২৪/৮) ৫৬.৪ ওভারে ১৩১ (জশুয়া ৩, শেমার হোল্ডার ৮*, গ্যাব্রিয়েল ২; সাউদি ১৭.৪-৬-৩২-৫, বোল্ট ১৪-৫-৩৪-০, ওয়্যাগনার ১২-৫-২৮-০, জেমিসন ১৩-৪-৩৪-৫ )।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (ফলো অনের পর) ৬৫.৪ ওভারে ২৪৪/৬ ( ব্র্যাথওয়েট ২৪, ক্যাম্পবেল ৬৮, ব্রাভো ৪, ব্রুকস ৩৬, চেইস ০, ব্ল্যাকউড ২০, হোল্ডার ৬০*, জশুয়া ২৫*; সাউদি ১৭-৪-৬৩-০, বোল্ট ১৫.৪-১-৭৫-৩, জেমিসন ১৫-৪-৪৩-২, ওয়্যাগনার ১৬-৪-৫৩-১, মিচেল ২-০-৪-০)।