বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সাইফ অবশ্য বেশিরভাগ সময় সহ-অধিনায়ক হিসেবেই পেয়েছেন শান্তকে। সেই সময়টায় নিয়মিত অধিনায়ক ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি যুব বিশ্বকাপে। তখন মিরাজের অনুপস্থিতিতে টুকটাক অধিনায়কত্বের সুযোগ মিলত শান্তর।
তবে পরের পর্যায়ে ক্রমেই শান্তর নেতৃত্বে আস্থা বেশি দেখা গেছে বিভিন্ন দলের কর্তাদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো বটেই, হাই পারফরম্যান্স দল, বিসিবি একাদশ ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে নানা সময়। গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট’স কাপ ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবালের সঙ্গে আরেক দলের অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। এরপর এই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতেও দল ভরসা রেখেছে তার সামর্থ্যে।
শান্তকে কাছ থেকে দেখা ও দেশের ক্রিকেটের অন্যদেরও আস্থার প্রমাণ দেখে সাইফ মনে করছেন, ভবিষ্যতে জাতীয় দলের নেতৃত্বভারও বর্তাবে শান্তর কাঁধে।
“কোনো সন্দেহ নেই, শান্ত শুধু লড়াকু ক্রিকেটার নয়, লড়াকু অধিনায়কও। মাঠে ফিল্ড সেট-আপ, নেতৃত্ব, দলকে যেভাবে উজ্জীবিত করে, সবই প্রশংসনীয়। আমি তো ছোটবেলা থেকে, সেই অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১০ সাল থেকে দেখে আসছি ওকে আর মিরাজকে একসঙ্গে।”
“তখন হয়তো মিরাজ বেশি অধিনায়কত্ব করত। তারপরও মিরাজ অসুস্থ থাকলে বা ম্যাচ মিস করলে শান্তই অধিনায়কত্ব করত। ওদের দুজনের নেতৃত্বই আমরা উপভোগ করতাম। আমরা জানি ভবিষ্যতে, যেভাবে ব্যাটিং করছে সে, যদি ধারাবাহিক থাকে, ৪-৫ বছর পর নেতৃত্ব হয়তো সে-ই পাবে।”
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর অধিনায়কত্ব নিয়ে দল থেকে মতামত চাওয়া হলে শান্তর পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন তার ছিল বলে জানালেন সাইফ।
“যদি দেখেন এইচপি, এ দল, হাই পারফরম্যান্স, সব জায়গায় নেতৃ্ত্ব দিয়ে আসছে ও। ওর ভেতরে সেই গুণাবলী আছে বিধায় দায়িত্ব পাচ্ছে। ড্রাফটের পর যখন আমাকে জিজ্ঞেস করেন, সারোয়ার ইমরান স্যার (রাজশাহীর কোচ) বা দলের বাকিরা, আমি বলেছি ‘কোনো সংশয় নেই।”
“ওর নেতৃত্ব, আচরণ-মানসিকতা, সব কিছু আমার ভালো লাগে। টিম ম্যানেজমেন্ট ওর প্রতি আস্থা রেখেছে। এখানে ও অসাধারণ ক্যাপ্টেনসি করছে, হয়তো দল হিসেবে ফল সেভাবে পাচ্ছি না আমরা। তবে মাঠের ভেতরে-বাইরে ওর নেতৃত্ব অসাধারণ।”