সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট কিপার এবার নতুন দায়িত্বে

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার একদিন পরই নতুন এক দায়িত্ব পেয়ে গেলেন পার্থিব প্যাটেল। টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ উইকেট-কিপার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জন্য খুঁজে বের করবেন নতুন প্রতিভা। আইপিএলের সফলতম দলটির ‘ট্যালেন্ট স্কাউট’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2020, 03:56 AM
Updated : 11 Dec 2020, 03:56 AM

মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে তিন মৌসুম খেলেছেন পার্থিব। এই দলের হয়ে স্বাদ পেয়েছেন দুটি আইপিএল শিরোপার, একবার দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও ছিলেন। সফল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন পথচলার শুরুতে তিনি রোমাঞ্চিত।

“ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে আমি দারুণ উপভোগ করেছি। চ্যাম্পিয়ন দলটির হয়ে ওই তিন বছর আমার স্মৃতিতে এখনও তরতাজা। এখন সময় জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর। আমি রোমাঞ্চিত, আত্মবিশ্বাসী ও মুম্বাইয়ের ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞ আমাকে সুযোগটি দেওয়ার জন্য।”

৩৫ বছর বয়সী পার্থিব গত বুধবার বিদায় জানান সব ধরনের ক্রিকেটকে। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ১৭ বছর ১৫২ দিন বয়সে কিপিং গ্লাভস হাতে নিয়েছিলেন, সবচেয়ে কম বয়সী টেস্ট কিপারের সেই রেকর্ড টিকে আছে এখনও।

দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে শুরু করলেও পরে কিপিংয়ের কিছু ভুলে জায়গা হারান দলে। এরপর মহেন্দ্র সি ধোনি ও দিনেশ কার্তিকের উত্থানে আর কখনোই সেভাবে নিয়মিত হতে পারেননি ভারতীয় দলে। ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে তার পরও নানা সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে খেলতে পেরেছেন দলে। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ২৫ টেস্ট, ৩৮ ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টির।

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে পার্থিব নিজেকে তুলে নিয়েছেন কিংবদন্তির পর্যায়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রান করেছেন ১১ হাজারের বেশি। ভারতের মাটিতে তার সাড়ে ৯ হাজার রানের চেয়ে বেশি আছে ইতিহাসে আর কেবল চার জনের। গুজরাটকে নেতৃত্ব দিয়ে রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফির শিরোপাও এনে দিয়েছেন। আইপিএলে আছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা।

ভারতীয় ক্রিকেটে পার্থিবের সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল দলগুলি বছর জুড়েই চালু রাখে তাদের প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম। বিভিন্ন দলের হয়ে অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষণ, মোহাম্মদ কাইফ, ওয়াসিম জাফর, অভিষেক নায়ারদের মতো তারকাদের পাশাপাশি সারা বছরই সক্রিয় থাকেন স্থানীয় কোচরা।