আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি শেষে কিছুদিন বিশ্রামের পর ২৫ ডিসেম্বর নাগাদ শুরু হতে পারে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। সেখানেও সাদা বলের অনুশীলনেই মনোযোগ বেশি থাকার কথা। কারণ, ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সম্ভাব্য সূচিতে আগে রাখা হয়েছে সীমিত ওভারের সিরিজই।
বাংলাদেশ দলের টেস্ট বিশেষজ্ঞদের জন্য তাই প্রস্তুতির ঘাটতি থেকে যেতে পারে। সোমবার মিরপুর একাডেমি মাঠে ফরচুন বরিশাল দলের অনুশীলন শেষে আবু জায়েদ বললেন, টেস্টের জন্য অনুশীলনের তাগিদ অনুভব করছেন তিনি।
“আসলে আমরা যারা টেস্ট প্লেয়ার আছি, তাদের ভেতরে ভেতরে কিছু অনুশীলন করা উচিত। যেহেতু টেস্ট শুরুর আগে খুব বেশি সময় পাব না, লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটও তেমন একটা নাই। আমার কাছে মনে হয়, টেস্ট বোলারদের আরও বেশি সময় বল করা, নতুন বলে বল করা, এগুলো নিজে নিজে করতে হবে।”
টেস্ট সিরিজের আগে বাংলাদেশর ক্রিকেটাররা বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ অনুশীলন করার সুযোগ খুব একটা পাবেন না নিশ্চিতভাবেই। নিজেদের মধ্যে ভাগ করে ম্যাচ হতে পারে, ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন দিনের বা দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হলে বিসিবি একাদশে হয়তো কয়েকজন খেলবেন। কিন্তু ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের আসর বিসিএল বা জাতীয় লিগ এই সময়ে হওয়ার সম্ভাবনা সামান্য।
অনুশীলনে যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা তো আবু জায়েদরা করবেনই। পাশাপাশি তিনি এটিও বলে রাখলেন, কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে পারলে আরও ভালো।
“টুর্নামেন্ট দরকার ছিল, কারণ আগে ক্রিকেটে ফিরতে হবে, তারপরে ফিটনেসে ফিরতে হবে। ২৫ তারিখ থেকে যে ক্যাম্পটা শুরু হবে, হয়তো সেখানে আমরা আবার লাল বলে অনুশীলন শুরু করব। এছাড়া দেখবেন যে ক্রিকেট শুরু হওয়ার পর লাল বল দিয়ে শুরু হচ্ছে। লাল বলের ক্রিকেটে যথা সম্ভব মনোযোগ দিতে হবে।”
“বিসিএল বা এরকম কোনো টুর্নামেন্ট যা হয়, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, এরকম বিসিএল বা ২-৩ টা অনুশীলন ম্যাচ হলে আমাদের জন্য ভালো হবে।”
২০১৮ সালের জুলাইয়ে টেস্ট অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত ৯ টেস্টে ২৪ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। এই সময়ে বাংলাদেশের আর কোনো পেসার ৬টির বেশি উইকেট নিতে পারেননি।