মাশরাফিকে পেতে লড়াইয়ে বরিশাল-খুলনা

চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে মাত্র দুদিন আগে বোলিং শুরু করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাচ ফিটনেস কবে নাগান পাবেন, নিশ্চিত নয় এখনও। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তাকে দলে নিতে শুরু হয়েছে টানাটানি। অভিজ্ঞ এই পেসারকে দলে পেতে আবেদন করেছে ফরচুন বরিশাল ও জেমকন খুলনা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2020, 11:26 AM
Updated : 3 Dec 2020, 11:26 AM

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিবি জানিয়েছিল, টুর্নামেন্ট চলার সময় মাশরাফি ফিট হয়ে উঠলে কোনো দল আগ্রহী হলে তাকে নিতে পারবে। একাধিক দল আগ্রহী হলে তাদের মধ্যে লটারি হবে।

ফরচুন বরিশাল দলের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার ভিডিও বার্তায় লটারির কথাই বললেন। পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন, তারাই প্রথম আবেদন করেছেন এবং মাশরাফিকে পাওয়ার আশা তারা করছেন।

“আমরা শুরু থেকে জানতাম যে মাশরাফি ফিট ছিল না এবং ড্রাফটের দিন তারা বলেছিল যে মাশরাফি ফিট হলে ৫টি দলই চাইলে তাকে নেওয়া যাবে। আমরা এখন জানতে পেরেছি, মাশরাফি ফিট হয়েছেন এবং গত পরশু আমরা আবেদন করেছি তাকে দলে চেয়ে। আশা করি, আমরা তাকে পাব।”

“এর মধ্যে খুলনাও তাকে পেতে আবেদন করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, এখন লটারিতে যেতে হবে বা অন্য কিছু হবে। তবে আমরা আশাবাদী যে আমরা মাশরাফিকে পাব। আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, আমরাই প্রথম দল যারা মাশরাফির জন্য অনুরোধ করেছি। খুলনা আজকে পাঠিয়েছে।”

খুলনার ম্যানেজার ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল অবশ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, তারা আবেদন করেছেন বুধবার। আগেই ঠিক হওয়া নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার সুযোগ তারা দেখছেন না।

“আমরা গতকাল মাশরাফির জন্য আবেদন করেছি। সম্ভবত আরেকটি দলও করেছে। কোন দল আগে করেছে বা পরে, এটা তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। আমাদের পরেও কোনো দল আগ্রহ দেখাতে পারে। তখন সেই দলকেও লটারিতে রাখতে হবে। নিয়ম যা বলা হয়েছে, সেটিই হওয়া উচিত।”

“মাশরাফি কবে পুরো ফিট হবে, এখনও আমরা জানি না। যেহেতু সে বোলিংয়ে ফিরেছে, আমরা আমাদের কাজ করে রাখলাম। সে কখন খেলতে প্রস্তুত, এটা দেখতে হবে। এরপর প্রক্রিয়া মেনেই বোর্ড নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।”

খুলনা দলে এমনিতেও মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসানের মতো তারকার পাশাপাশি আছেন দেশের শীর্ষ আরও বেশ কজন ক্রিকেটার। তারপরও কেন তারা মাশরাফিকে পেতে আগ্রহী, জানালেন নাফিস।

“প্রথমত সে মাশরাফি। আগ্রহ থাকার আর বাড়তি কোনো কারণ লাগে না। পাশাপাশি যদি আরও কারণ বলতে গেলে, সে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। এই কন্ডিশন, উইকেট সে দারণভাবে কাজে লাগাতে পারবে বলে আমরা মনে করছি। এত বছর ধরে খেলছে, এত অভিজ্ঞতা, দলে নানাভাবে অবদান রাখতে পারবে। সব মিলিয়েই আমাদের ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক, সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এটি।”

গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের পর এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে খেলেননি মাশরাফি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে তাকে রাখা হয়নি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্লেয়ার্স ড্রাফটে। সেই চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার শেষ ধাপে আছেন তিনি। ১০ কেজি ওজন কমিয়ে বোলিং শুরু করেছেন গত মঙ্গলবার থেকে।