৯৯ রানে অপরাজিত মালান ফিরে যেতে চান অঙ্ক ক্লাসে

দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান, নিজের সেঞ্চুরির জন্য ২। দুটিই পাওয়ার একমাত্র সমাধান তখন বাউন্ডারি। কিন্তু দাভিদ মালান পেলেন কেবল একটি। কাভারে বল পাঠিয়ে স্রেফ সিঙ্গেল নিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। দল জিতল, তিনি অপরাজিত ৯৯ রানে। এটা কি ইচ্ছে করেই নাকি হিসেবের গড়বড়? ম্যাচ শেষে মালান মজা করে বললেন, অঙ্ক ক্লাসে ফিরে যেতে হবে তার!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 04:23 AM
Updated : 2 Dec 2020, 04:23 AM

মালান ও জস বাটলারের রেকর্ড গড়া জুটিতে এই ম্যাচে মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। ১৯২ রান তাড়ায় মালান ও বাটলার গড়েন ১৬৭ রানের জুটি, টি-টোয়েন্টিতে যা বিশ্ব রেকর্ড। ৪৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন মালান, ৪৬ বলে ৬৭ রানে বাটলার।

রান তাড়ার ১৭তম ওভার শেষে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, সেঞ্চুরির জন্য মালানের ১২। লুথো সিপামলার করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন বাটলার। মালান পরের দুই বলে মারেন ছক্কা ও চার। এই দুটির মাঝে সিপামলা করেন একটি ওয়াইড। দলের যখন ১ রান প্রয়োজন, মালান তখন অপরাজিত ৯৮ রানে। ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে নেন মালান। ওই রান না নিয়ে পরের বলে বাউন্ডারির চেষ্টা করতে পারতেন তিনি। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি।

ম্যাচের পর মালানের কাছে ছুটে গেল এটি নিয়ে প্রশ্ন। মালানের উত্তর জাগিয়ে তুলল নতুন কৌতূহল।

“ আমি জানি না, ওই সিঙ্গেল আমি না নিলে ব্যাপারটি কীভাবে নেওয়া হতো… সিঙ্গেলের সুযোগ ছিল, আমি স্রেফ দৌড়েছি।”

‘কীভাবে নেওয়া হতো’ বলে মালান হয়তো গত বছরের একটি ম্যাচের দিকে ইঙ্গিত করেন। নেপিয়ারে সেই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে তিনি রান নেননি, হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ হবে ভেবে। কিন্তু নিজে অপরাজিত থাকতেই তিনি রান নিতে চাননি ধরে নিয়ে ম্যাচের পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান। এজন্যই হয়তো এবার নিজের অর্জনের অপেক্ষা না করে সিঙ্গেল নিয়ে নেন মালান।

দলের ও তার নিজের যখন প্রয়োজন ১২ রান, তখন সেঞ্চুরি ছোঁয়ার একটি ছক অবশ্য মাথায় এঁকেছিলেন মালান। কিন্তু সেখানে সফল হননি। রসিকতাও করলেন সেটি নিয়ে।

“৫ বল যখন বাকি, আমার ভাবনায় ছিল, দুটি ছক্কা মেরে দলের জয় আর নিজের সেঞ্চুরি করা। কিন্তু একটি ছক্কার পর আরেকটি চার হওয়ায় এরপর আর খুব ভালো হিসাব করতে পারিনি। আমাকে মনে হয় অঙ্ক ক্লাসে ফিরে যেতে হবে!”