দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ এ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। মালানের ফিফটিতে এক বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
পার্লের বোল্যান্ড পার্কে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জনই পৌঁছান দুই অঙ্কে, কিন্তু কেউই ৩০ ছাড়াতে পারেননি।
ওপেনিংয়ে এই ম্যাচেও ভুগেছেন টেম্বা বাভুমা। তাকেই বোল্ড করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আর্চার। বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া কুইন্টন ডি কককে থামান ক্রিস জর্ডান। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান।
দলে ফেরা বিউরান হেনড্রিকস ও আগের ম্যাচে ফিফটি করা ফাফ দু প্লেসিকে বেশি দূর যেতে দেননি আদিল রশিদ। চাপে পড়া স্বাগতিকদের দেড়শ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান রাসি ফন ডার ডাসেন ও জর্জ লিন্ডে। ২০ বলে ২৯ রান করেন লিন্ডে। তার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়া ফন ডার ডাসেন অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।
ইংল্যান্ড ইনিংসেও ছিল একই চিত্র। রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় প্রায় সব ব্যাটসম্যানকে। মন্থর উইকেটে বেশ ভুগছিলেন জেসন রয়। ক্রস ব্যাট শটে চাপ সরানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন এই ওপেনার।
দ্রুত এগোনো জস বাটলারকে বোল্ড করার পর জনি বেয়ারস্টোকে থামান তাবরাইজ শামসি। বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ানোর পরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন বেন স্টোকস।
দলের বিপদে হাল ধরেন মালান। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান দেখান নিজর সামর্থ্য। পান অধিনায়ক মর্গ্যানের দারুণ সহায়তা। পিচ বেশ মন্থর ছিল। রান পাওয়া সহজ ছিল না। সেখানে শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডকে মিলিয়ে দেন কঠিন হয়ে যাওয়া সমীকরণ।
শেষ করে আসতে পারেননি ম্যাচে একমাত্র পঞ্চাশ ছোঁয়া ব্যাটসম্যান মালান। ১৮তম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির প্রথম চার বলে ১৬ রান নেওয়া এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন লং অফে। এই ওভারেই ম্যাচ চলে আসে সফরকারীদের মুঠোয়।
৪০ বলে এক ছক্কা ও সাত চারে ৫৫ রান করে ফিরেন মালান। ১৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যান।
আগামী শুক্রবার কেপ টাউনে হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৪৬/৬ (বাভুমা ১৩, ডি কক ৩০, হেনড্রিকস ১৬, দু প্লেসি ১১, ফন ডার ডাসেন ২৫*, ক্লাসেন ৭, লিন্ডে ২৯, রাবাদা ৫*; স্যাম কারান ২-০-২৪-০, আর্চার ৪-০-১৮-১, টম কারান ৪-০-৩৭-১, জর্ডান ৪-০-২৯-১, রশিদ ৪-০-২৩-২, স্টোকস ২-০-১৪-০)
ইংল্যান্ড: ১৯.৫ ওভারে ১৪৭/৬ (রয় ১৪, বাটলার ২২, মালান ৫৫, বেয়ারস্টো ৩, স্টোকস ১৬, মর্গ্যান ২৬*, জর্ডান ৩*; লিন্ডে ৪-০-২৭-০, রাবাদা ৩.৫-০-২৫-১, নরকিয়া ৪-০-২১-০, এনগিডি ৪-০-৫১-২, শামসি ৪-০-১৯-৩)
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে ইংল্যান্ড