মাউন্ট মঙ্গানুইতে রোববার ফিলিপসের ৫১ বলে ১০৮ ও ডেভন কনওয়ের ৩৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে নিউ জিল্যান্ড তোলে ২০ ওভারে ২৩৮ রান। পরে ৭২ রানের জয়ে কিউইরা জিতে নেয় সিরিজও।
ফিলিপস-কনওয়ের ব্যাটিং তাণ্ডবে এ দিন হয়ে যায় বেশ কিছু রেকর্ড।
৪৬
৪৬ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ফিলিপস, নিউ জিল্যান্ডের হয়ে যা দ্রুততম। কলিন মানরোর ৪৭ বলের সেঞ্চুরি ছিল আগের দ্রুততম। ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এই মাঠেই রেকর্ডটি গড়েছিলেন মানরো।
৪
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে চার নম্বর বা এর নিচে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান ফিলিপস। এর আগে এটি করেছেন ডেভিড মিলার, লোকেশ রাহুল ও দুবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
আইসিসির সব সদস্য রাষ্ট্রের এখন টি-টোয়েন্টি মর্যাদা আছে। তাদেরকেও বিবেচনায় নিলে চার বা এর নিচে দশম সেঞ্চুরি এটি।
১৮৪
ফিলিপস ও কনওয়ের এই জুটি যে কোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসনের ১৭১ ছিল আগের রেকর্ড।
উদ্বোধনী জুটি ছাড়া অন্য যে কোনো জুটিতেই বিশ্বরেকর্ড এটি। গত নভেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দাভিদ মালান ও ওয়েন মর্গ্যানের ১৮২ ছিল আগের রেকর্ড। সেটিও ছিল তৃতীয় উইকেটে।
১০৮
সপ্তম ওভারে উইকেটে গিয়ে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ফিলিপস। পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলারের ১০১ ছিল আগের রেকর্ড।
মিলার সেদিন উইকেটে গিয়েছিলেন দশম ওভারে। ফিলিপস এই ম্যাচে ১০ ওভারের পর রান করেছেন ৯৩!
সব দেশ মিলিয়ে পাওয়ার প্লের পর উইকেটে গিয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে বেলজিয়ামের শাহরিয়ার বাটের ১২৫।
১৫৪
শেষ ১০ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান। টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বোচ্চ, সব দেশ মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। শেষ ১০ ওভারে ১৫৯ রানের বিশ্বরেকর্ড শ্রীলঙ্কার, ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে।েআয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রান তুলে দুইয়ে আফগানিস্তান।
২৩৮
নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। এর চেয়ে বেশি স্কোর তাদের আছে একটি, হয়েছে দুইবার। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচে তারা করেছিল ২৪৩।