সাকিবের দুর্দান্ত ‘ডাবল’

শরিফুল ইসলামের লাফানো বল স্কয়ার লেগে আলতো হাতে খেলে একটি রান। তাতেই অপেক্ষার অবসান। জেমকন খুলনার হয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ওই রান দিয়েই সাকিব আল হাসান স্পর্শ করলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রান। পাশাপাশি এই অলরাউন্ডার পূরণ করে ফেললেন দারুণ এক ডাবলও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 07:55 AM
Updated : 28 Nov 2020, 10:39 AM

৫ হাজার রানের আগে টি-টোয়েন্টিতে ৩৫৫টি উইকেটও আছে সাকিবের। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৫ হাজার রান তার আগে ছুঁয়েছেন ৬৪ জন। সাড়ে তিনশ উইকেট নিয়েছেন তিনি ছাড়াও ৫ জন। কিন্তু এই দুই তালিকায়ই নাম লেখানো মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার সাকিব।

এই অর্জন এতদিন ছিল কেবল ডোয়াইন ব্রাভোর। টি-টোয়েন্টির যাযাবর ৩৭ বছর বয়সী এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ৪৭১ ম্যাচে রান করেছেন ৬ হাজার ৩৩১, উইকেট নিয়েছেন ৫১২টি। সাকিব এই ম্যাচ দিয়ে খেললেন ৩১১ ম্যাচ।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শুরু থেকেই ছিল সাকিবের এই মাইলফলকের অপেক্ষা। ৫ হাজার রানের ৩০ রান দূরে থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে আউট হয়ে যান ১৫ রান করে, পরের ম্যাচে ফেরেন ১২ রানে। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে শনিবার পা রাখতে পারলেন কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। খুলনার হয়ে এদিন ইনিংস ওপেন করতে নামেন সাকিব। ৩ রান করতেই অবশ্য চতুর্থ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাকে।

মাইলফলকের ম্যাচ অবশ্য ব্যাট হাতে রাঙাতে পারেননি সাকিব। আউট হয়ে গেছেন ওই ৩ রানেই।

ব্রাভো আর সাকিব ছাড়া ৫ হাজার রানের পাশে ৩০০ উইকেট আছে আর কেবল আন্দ্রে রাসেলের। ৩৪১ ম্যাচে এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার রান করেছেন ৫ হাজার ৭২৮, উইকেট নিয়েছেন ঠিক ৩০০টি।

সাকিব ৫ হাজার রানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে, ১ হাজার ৫৬৭। এছাড়া বিপিএল দল ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে করেছেন ৭৩৮, আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৫৪৩।

সবচেয়ে বেশি উইকেটও নিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে, ৯২টি। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে উইকেট ৫৮টি, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৪৪টি।