তবুও মুক্তারকে বাহবা দিচ্ছেন মুশফিক

শেষ ওভারে মুক্তার আলির ব্যর্থতায় ম্যাচ হারলেও তাকে কাঠগড়ায় তুলছেন না মুশফিকুর রহিম। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে জয়ের আশা জাগানো এই অলরাউন্ডারকে বরং বাহবা দিচ্ছেন ঢাকার অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2020, 02:12 PM
Updated : 24 Nov 2020, 07:46 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রোমাঞ্চকর ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ২ রানে হারে বেক্সিমকো ঢাকা।

আকবর আলির সঙ্গে মুশফিকের জুটিতে এগোচ্ছিল ঢাকা। দুই ব্যাটসম্যান খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে। আকবরের বিদায়ে ভাঙে ৫৩ বলে ৬৯ রানের জুটি। তার উইকেটকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন মুশফিক। 

“আমার মনে হয়, আকবরের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন ছিল শেষদিকে। আপনি আশা করতে পারেন না কোনো ব্যাটসম্যান এসেই তিন ছক্কা হাঁকাবে। কৃতিত্বটা মুক্তারের, সে শেষ ওভার ছাড়া খুব ভালো ব্যাট করেছে।”

“আশা করি, আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারব। এটাই খেলার সৌন্দর্য্য। আপনার ভুল থেকে শিখতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে।”

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। মেহেদি হাসানের ওভার থেকে আসে কেবল ৬ রান। এই অফ স্পিনারের একটি ‘নো’ বলের পরও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি ফরাহাদ রেজার আগের ওভারে তিন ছক্কা হাঁকানো মুক্তার। মেহেদির ওভারের ৭টি বলই খেলেন তিনি, এর পাঁচটিতে পারেননি ব্যাট ছোঁয়াতে।

প্রথম ম্যাচ দেখে কাউকে বিচার করতে চান না ঢাকা অধিনায়ক। প্রায় সবাই ভালো শুরু পাওয়ায় এক দিকে তিনি খুশি, আবার কেউই নিজের ইনিংস বড় করতে না পারায় হতাশও। এরপর থেকে থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বড় ইনিংস চাইলেন মুশফিক।

“টি-টোয়েন্টিতে ৩০-৪০ রানের ইনিংস খেলে জেতা অনেক কঠিন। আমরা যারা থিতু হয়েছি, তাদের কেউ যদি শেষ পর্যন্ত থাকতাম, ৬০ রানের ইনিংস খেলতাম তাহলে ম্যাচটা অবশ্যই আমাদের দিকে থাকতো। তবে সবাই ভালো শুরু পেয়েছে, এটা নিয়ে আমি খুশি। এটা ভালো লক্ষণ, দেখা যাচ্ছে যে সবাই ভালো ছন্দে আছে। আর পরের ম্যাচে যারা ছন্দে থাকবে তারা যেন বড় রান করে।”

বোলিংয়ে শুরু আর শেষটা ভালো হয়নি ঢাকার। মাঝের সময়টুকুতে তারা বেশ ভালো করেছে। জয় পেতে পরের ম্যাচে সবাইকে প্রসেস ঠিক রাখার তাগিদ দিলেন ঢাকার অধিনায়ক।

“বোলিং বিভাগে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটু এদিক-ওদিক হয়েছে। প্রথম ম্যাচের জন্য হয়তো একটু নার্ভাসনেস ছিল, আত্মবিশ্বাস একটু কম ছিল। যেকোনো দলের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে, অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ সবার ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। এই ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, পরের ম্যাচে সেগুলো যেন আর না করি। প্রসেস ঠিক রাখলে আমরা ম্যাচ জিততে পারব।”

আগামী বৃহস্পতিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের মুখোমুখি হবে ঢাকা।