এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষেও গত কিছুদিন সাকিব নিয়মিত খবরের জন্ম দিয়েছেন মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ ২২ গজের পারফরম্যান্সে খবরের শিরোনামে উঠে আসার।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে জেমকন খুলনা সাকিবকে দলে নিয়েছে নিজেদের প্রথম ডাকেই। তার কাছে দলের প্রত্যাশাও আকাশচুম্বি। গত কিছুদিনে অনুশীলনে তিনি ঘাম ঝরিয়েছেন বেশ, তবু লম্বা সময় পর ফিরে ম্যাচে মানিয়ে নিতে সময় লাগাটা অস্বাভাবিক নয়।
“আমরা সবাই জানি সাকিবের গুরুত্ব কতটুকু। সেটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হোক বা ঘরোয়াতে। অবশ্যই আমরা সবাই খুশি যে ও ফিরেছে এবং আমাদের দলেই খেলছে। ওকে পাওয়া দারুণ ব্যাপার।”
“আমি সবসময় একটা জিনিস বিশ্বাস করি-সাকিবের যে উচ্চতা, যে সামর্থ্য, আমার মনে হয় না যে কোনো প্রশ্ন থাকবে ওর অর্জন, ওর পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে। আমি বিশ্বাস করি, ও প্রথম ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। ওই জড়তাও দেখছি না। মনে হচ্ছে যে ও খুব উদগ্রীব খেলার জন্য, মুখিয়ে আছে ভালো খেলতে।”
সাকিবের সামর্থ্য, সাকিবের প্রভাববিস্তারী পারফরম্যান্স, এসব নিয়ে কোনো সংশয় নেই প্রতিপক্ষ অধিনায়কদেরও। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদেরও বিশ্বাস, শুরু থেকেই দারুণ খেলবেন এই অলরাউন্ডার। এই দুজনের শুধু আশা, তাদের বিপক্ষে যেন ভালো পারফর্ম করতে না পারেন সাকিব।
উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবদের প্রতিপক্ষ তামিমের ফরচুন বরিশাল। গত ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি কাছ থেকে দেখে আসছেন সাকিবকে। তামিমের বিশ্বাস, ফেরার পর সাকিব নিজেকে তুলে নেবেন আরও উঁচুতে।
“যেহেতু আমার জন্য এটা একটা খেলা, আমি চেষ্টা করব যেন যত কম প্রভাব ও ফেলতে পারে। তবে দিন শেষে আমি খুশি যে ও ফিরছে। আমি নিশ্চিত, ও কালকে থেকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে যাবে।”
সাকিবের ফেরাকে আরও বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন মুশফিক। বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়কের মতে, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এই টুর্নামেন্ট বড় সুযোগ সাকিবের কাছ থেকে শেখার।
“এটা তো অবশ্যই বড় একটা বিষয় (সাকিবের ফেরা)। কেবল আমি না, আমার মনে হয় পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই অপেক্ষা করছে। সে এক নম্বর অলরাউন্ডার, আমাদের শীর্ষ ক্রিকেটার। আশা করছি, আমাদের সঙ্গে ছাড়া যাতে অন্য সবার সঙ্গে ভালো খেলে। কোনো সমস্যা নাই।”
“আমার কাছে মনে হয়, পুরো টুর্নামেন্টের জন্যই এটা বড় একটা পাওয়া। তার সঙ্গে এবং বিপক্ষে তরুণ যারা খেলবে, তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। এটা ভবিষ্যতেও খুব কাজে দিবে। যেহেতু এবার কোনো বিদেশি খেলোয়াড় নেই, তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য এটা ভালো সুযোগ তার সঙ্গে অনেক কিছু ভাগাভাগি করার এবং অনেক কিছু শেখার।”