দুই দলের অস্ত্র ভাণ্ডারেই মজুদ সময়ের সেরা পেসারদের কয়েকজন। ভারতীয় দলে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদবের মতো পেসাররা। সঙ্গে নবদিপ সাইনি, মোহাম্মদ সিরাজের মতো উঠতি গতিময় পেসার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পেস তোপ ছুঁড়বেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউড, জেমস প্যাটিনসনরা।
তুমুল আলোচিত এই সিরিজ নিয়ে সনি পিকচার্স স্পোর্টস নেটওয়ার্কে জহির বললেন, সেরা বোলারদের লড়াই দেখতে মুখিয়ে তিনি।
“ অস্ট্রেলিয়ার পিচগুলোয় সবসময়ই বাউন্স ও গতি পাওয়া যায়। আমি মনে করি বোলাররা নির্ধারণ করে দেবে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের ভাগ্য। প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে দিতে দলের বোলিং বিভাগ কতটা ভালো করে, সেটাই মূল ব্যাপার হবে।”
“কেউ যখন এই মুহূর্তে বিশ্বের শীর্ষ বোলারদের কথা বলেন, আমাদের মনে যে নামগুলো আসে, তারা সবাই এই সিরিজে মাঠে নামবে।”
দুই দলের সবশেষ টেস্ট সিরিজে ২০১৭-১৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া পায়নি ব্যাটিংয়ের মূল দুই ভরসা ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয় করা তাই তুলনামূলক সহজ ছিল ভারতের জন্য। এবার দুই জনই আছেন প্রতিপক্ষ হিসেবে। জহির মনে করছেন, ভারতের অপেক্ষায় কঠিন লড়াই।
“ অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথ ও ওয়ার্নার এখন ফিরে আসায় ভারত আগের সফরের তুলনায় অবশ্যই এবার কঠিন প্রতিন্দ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তবে এখানে কাউকে ফেভারিট বলা যাচ্ছে না, কারণ দুই দলেরই ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগ মানসম্পন্ন। এগুলোই এই সিরিজকে উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর করে তুলবে।”
২৭ নভেম্বর সিডনিতে ওয়ানডে দিয়ে শুরু দুই দলের সিরিজ। এরপর পর্যায়ক্রমে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ।