ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা ভেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো বটেই, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্যও প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও চালু করা হয়েছে বয়সের এই ন্যূনতম সীমা।
তবে ১৫ বছরের কম বয়সীদের পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি। বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হিসেবে এই বয়সী কাউকে খেলানোর আবেদন আইসিসিতে করতে পারে কোনো দেশ। এরপর আইসিসি খতিয়ে দেখবে, সেই ক্রিকেটারের নানা পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতা, মানসিক সক্ষমতা ও পারিপার্শ্বিক সবকিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দাবি মেটাতে সক্ষম কিনা। সন্তুষ্ট হলে তারা ওই ক্রিকেটারকে খেলানোর অনুমতি দেবে।
১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ বছর ২২৭ দিন বয়সে টেস্ট খেলেছিলেন রাজা। ওই সিরিজে ওয়ানডেও খেলেছিলেন এই ব্যাটসম্যান, ১৪ বছর ২৩৩ দিন বয়সে। ১৫ বছর বয়সের নীচে এই দুই সংস্করণে খেলার স্বাদ পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটার ছেলেদের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত তিনিই। যদিও তার সত্যিকারের বয়স নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। রাজার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পরে শেষ হয়েছে ৭ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডেতে।
টি-টোয়েন্টিতে ১৫ বছরের কম বয়সে খেলেছেন আরও দুজন। গত মাসেই বলকান কাপে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে রোমানিয়ার হয়ে ১৪ বছর ১৬ দিন বয়সে খেলেছেন মারিয়ান ঘেরাসিম। ছেলেদের ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এখন তিনিই। এছাড়াও গত বছর এসিসি পশ্চিমাঞ্চল টি-টোয়েন্টিতে মালদ্বীপের বিপক্ষে কুয়েতের হয়ে ১৪ বছর ২১১ দিনে খেলেছেন মিত ভাবসার।
মেয়েদের ক্রিকেটে আছে কম বয়সে খেলার আরও বিস্ময়কর ঘটনা। ২০০০ সালে পাকিস্তানের সাজিদা শাহর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ১২ বছর ১৭৮ দিন বয়সে! তিনি ছাড়াও ১৫ বছরের কম বয়সে টেস্ট খেলেছেন ১ জন, ওয়ানডে খেলেছেন ৯ জন, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৬২ জন!