অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের পর আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই নিয়ম। বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানিয়েছে আইসিসি।
প্রাথমিক নিয়মে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব দলের ছয়টি করে সিরিজ হওয়ার কথা। এরপর পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারণ করার কথা দুই ফাইনালিস্ট দল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বাতিল হওয়া, স্থগিত হওয়া সিরিজগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই বলা যায়। একই সঙ্গে ২০২১ সালের জুনেই ফাইনাল আয়োজন করতে চাচ্ছে আইসিসি। ফলে এই সময়ের মধ্যে সব দলের সিরিজগুলো শেষ করা সম্ভব নয়। তাই এই নিয়মের দিকে ঝুঁকেছে আইসিসি।
ক্রিকেট কমিটির বিবেচনায় আরেকটি বিকল্পও ছিল। মহামারীর কারণে লিগ পর্যায়ের যেসব সিরিজ হয়নি, সেগুলোর পয়েন্ট দলগুলোকে ভাগ করে দেওয়ার ভাবনা ছিল। পরে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
নতুন নিয়মে, ফাইনালের দৌড়ে থাকা শীর্ষ দলগুলোর সম্ভাবনায় খুব বেশি বদল আনছে না। তবে সামনের সিরিজগুলোয় ভালো করে পয়েন্টের হার বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে করোনায় অনেক ম্যাচ খেলতে না পারা দলগুলোর।
বর্তমানে পয়েন্টের হারে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিনটি সিরিজ খেলা দলটির পয়েন্টের হার ৮২.২২ শতাংশ। চার সিরিজ খেলে ৭৫.০০ শতাংশ হার নিয়ে ভারত আছে দ্বিতীয় স্থানে। তিনে ইংল্যান্ড, তারাও খেলেছে চারটি সিরিজ। তাদের পয়েন্টের হার ৬০.৮৩ শতাংশ। এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে সবার শেষে। তিন ম্যাচ খেলা দলটি এখনও পায়নি কোনো পয়েন্ট।