করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে পঞ্চম আসরের ফাইনালে করাচি জিতেছে ৫ উইকেটে। ১৩৫ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ৮ বল বাকি থাকতে। দুই দলই প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল।
৩৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন তামিম। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ২০ বলে ৩০ ও ১০ বলে ১৮।
উইকেটে বাউন্স ছিল অসমান। বল বেশ থামছিলও। টাইমিং পেতে ভুগতে হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। ম্যাচের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলা তামিম ছিলেন বেশ সাবধানী।
এক পর্যায়ে তার রান ছিল ২৫ বলে ১৪। এরপর বাড়ান রানের গতি। চার মারেন পেসার উমাইদ আসিফকে। অফ স্পিনার ইফতিখার আহমেদকে ডাউন দা উইকেটে এসে ছক্কায় ওড়ান লং অফের ওপর দিয়ে। একটু পর আসিফকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে।
তামিমের বিদায়ের পরই দিক হারায় লাহোর। বিনা উইকেটে ৬৮ থেকে দ্রুত তাদের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৮১। আরেক ওপেনার ফখর জামান ২৪ বলে ২৭ করে ফেরার পর দ্রুত বিদায় নেন মোহাম্মদ হাফিজ ও সামিত প্যাটেল।
আগের ম্যাচে শেষ দিকে ঝড় তোলা ডেভিড ভিসাও পারেননি কিছু করে দেখাতে, ১৪ বলে অপরাজিত ১৪। শেষ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির চার-ছক্কায় ১৩০ ছাড়ায় দলের সংগ্রহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ১৩৪/৭ (তামিম ৩৫, ফখর ২৭, হাফিজ ২, ডাঙ্ক ১১, প্যাটেল ৫, সোহেল ১৪, ভিসা ১৪*, ফাইজান ০, শাহিন আফ্রিদি ১২*; ইমাদ ২-০-৬-১, আমির ৪-০-৩৮-০, মাকসুদ ৪-০-১৮-২, আরশাদ ৪-০-২৬-২, আসিফ ৪-০-১৮-২, ইফতিখার ২-০-১৯-০)
করাচি কিংস: ১৮.৪ ওভারে ১৩৫/৫ (শারজিল ১৩, বাবর ৬৩*, হেলস ১১, চ্যাডউইক ২২, ইফতিখার ৪, রাদারফোর্ড ০, ইমাদ ১০*; শাহিন আফ্রিদি ৩.৪-০-৩১-০, রউফ ৪-০-৩০-২, প্যাটেল ৪-০-২২-১, দিলবার ৪-০-২৮-২, ভিসা ৩-০-২১-০)
ফল: করাচি কিংস ৫ উইকেটে জয়ী ও চ্যাম্পিয়ন
ম্যান অব দা ম্যাচ: বাবর আজম
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: বাবর আজম।