শর্ট বলে পরোয়া নেই, ভারতকে স্মিথের হুঙ্কার

পাঁজর ও মাথা তাক করে একের পর এক শর্ট বল। তাতেই বাঁধ স্টিভেন স্মিথের রানের জোয়ারে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দারুণ কার্যকর ছিল নিউ জিল্যান্ডের নিল ওয়্যাগনারের এই কৌশল। তবে ভারতীয় পেসাররাও একই কৌশল নিলে পস্তাতে হবে, হুঁশিয়ার করে দিলেন স্বয়ং স্মিথই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2020, 06:45 AM
Updated : 14 Nov 2020, 08:39 AM

গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কিউইদের বিপক্ষে ওই সিরিজে ৩ টেস্টে কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি স্মিথ। ফিফটি করতে পেরেছিলেন কেবল ২টি। তার পরও অবশ্য সিরিজে তার ব্যাটিং গড় খারাপ ছিল না, ৪২.৮০। তবে স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৩৪.১৩।

মূলত ওয়্যাগনারের একের পর এক শর্ট বলেই ভুগতে হয়েছিল স্মিথকে। সিরিজে চার বার শর্ট বলে স্মিথকে আউট করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।

সামনের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে স্মিথকে আটকাতে একই কৌশল কাজে লাগাতে পারে ভারতের পেস আক্রমণ। এই প্রসঙ্গেই নিউজ ক্রপকে স্মিথ বললেন, ওয়্যাগনারের মতো কার্যকর অন্যদের হওয়ার সম্ভাবনা কম।

“আমার জন্য এটা নাটকীয় কিছু নয়। আমি স্রেফ ম্যাচ খেলতে নামি, কন্ডিশন পর্যালোচনা করি, বোঝার চেষ্টা করি তারা আমাকে কীভাবে আউট করার চেষ্টা করছে এবং সেটার মোকাবেলা করি। যেটা বলতে চাচ্ছি, অনেক বেশ কটি দলও এটা (শর্ট বল) চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওয়্যাগনার যেভাবে পেরেছে, অন্যরা সেভাবে পারেনি।”

“ ওয়্যাগনারের স্কিল সেট অসাধারণ। তার বলের গতি উঠা-নামা করে… সব ডেলিভারিই পাঁজর ও মাথ তাক করে আসে।”

স্মিথের মতে, অন্যরা এই কৌশল অবলম্বন করলে আখেরে অস্ট্রেলিয়ারই লাভ।

“ দলগুলি যদি আমাকে এভাবে আউট করার চেষ্টা করে, তাহলে হয়তো আমাদের দলেরই সুবিধা। কারণ টানা শর্ট বল করতে গিয়ে অনেকেরই শরীরের ওপর ধকল যায়। আমি জীবনে শর্ট বল অনেক খেলেছি এবং খুব বেশি সমস্যা হয়নি। আমার মনে হয়, স্রেফ অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন (ভারতের বিপক্ষে সিরিজে)।”