দল পাননি রাজ্জাক-শাহরিয়ার

বিপিএলে কয়েক মৌসুম ধরেই সুযোগ পান না আব্দুর রাজ্জাক। শাহরিয়ার নাফীস সুযোগ পাননি গত আসরে। এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বিদেশি ক্রিকেটার নেই, তাদের জন্য তাই আশার জায়গা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে কোনো দল নেয়নি অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2020, 12:13 PM
Updated : 12 Nov 2020, 12:13 PM

সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে দল পাননি জুনায়েদ সিদ্দিক, এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম ও এক সময় টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ বলে বিবেচিত নাদিফ চৌধুরিও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতদের মধ্যে এই আসরে দল না পাওয়া উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন তানবীর হায়দার, মেহেদি মারুফ, মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আল আমিন, সাদমান ইসলাম ও মনির হোসেন।

দুই লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেন দল পেলেও কোনো দল আগ্রহী হয়নি অন্য দুই লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি ও জুবায়ের হোসেনের প্রতি। 

ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে না পারায় ড্রাফটেই জায়গা হয়নি সোহাগ গাজী, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানিদের।

রাজ্জাক বিপিএলে সবশেষ খেলেছেন ২০১৭ সালে। অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ এই পারফরমার আবার টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পান গত বছর প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে। তিন ম্যাচের দুটিতেই তার পারফরম্যান্স ছিল ভালো। চার ওভারে ১০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন এক ম্যাচে, আরেকটিতে ১৯ রানে ১ উইকেট।

রাজ্জাকের ফিটনেস নিয়ে একসময় প্রশ্ন উঠেছে বেশ। তবে এবার বিসিবির ফিটনেস পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেছেন তিনি। তারপরও সুযোগ হলো না এই টুর্নামেন্টে। ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিনার অবশ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, দল পাওয়ার আশাই তার ছিল না।

“আমি একদমই আশা করিনি যে কেউ নেবে। যদিও ফিটনেস টেস্টে ভালো করেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম তো সবসময়ই করে আসছি। কিন্তু সম্মান দেওয়ার মতো ব্যাপার তো আমাদের দেশে সেভাবে নেই। তাই আশা করিনি।”

“আমি সবসময়ই বলি, নিজের হাতে যা আছে, সেটাই আমি কেবল করতে পারি। করেও যাচ্ছি। এখন কেউ না নিলে তো আমার কিছু করার নেই। সামনে যেখানে সুযোগ আসে, খেলব।”

গত বছরের ওই প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শাহরিয়ার নাফীস এক ম্যাচে করেছিলেন ২৪ বলে ৪৬, আরেক ম্যাচে ২৩ বলে ১৫। তার কণ্ঠেও শোনা গেল রাজ্জাকের মতোই কথা।

“ড্রাফটে কেউ না নিলে তো কিছু বলারও নেই, করারও নেই। আমরা আমাদের কাজ করার চেষ্টা করেছি। ফিটনেস ঠিক রেখেছি। মাঠে নামতে মুখিয়ে ছিলাম। অনেক দিন কোনো খেলার সুযোগ হয় না, এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম সবাই। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি না নেয়, কী আর করতে পারি!”

“কবে আমাদের খেলার সুযোগ হবে, সেটিও জানি না। প্রিমিয়ার লিগ তো অনিশ্চিত, আর কোন খেলা হবে ঠিক নেই। ফিটনেস কতটা ঠিক রাখতে পারি, সেটাও জানি না। দেখা যাক…।”