দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে মুম্বাই জিতেছে ৫ উইকেটে। শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশাব পান্তের ফিফটিতে ১৫৬ রান করে দিল্লি। রোহিতের ফিফটিতে ৮ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বাই।
আইপিএলের সফলতম দল মুম্বাইয়ের এটি টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে পঞ্চম শিরোপা, সবগুলোই শেষ আট আসরে। প্রথমবার ফাইনালে খেলা দিল্লির শিরোপা অধরা রয়ে গেল।
আসরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে চারবারের দেখায় চারবারই হারল দিল্লি। প্রাথমিক পর্বে দুই ম্যাচের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারেও হারের বিষাদ সঙ্গী হয়েছিল তাদের।
লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত ও ডি কক। চার ওভারেই দুজন তুলে ফেলেন ৪৫ রান। ডি কককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১২ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান করেন ২০ রান।
জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে দ্বাদশ ফিল্ডার ললিত যাদবের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন মুম্বাই অধিনায়ক। ৫১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৬৮ রান। শেষ দিকে দলটি ২ উইকেট হারালেও সহজ জয় নিয়ে ফেরেন ইশান কিশান। ১৯ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লির শুরুটা হয় ভীষণ বাজে। ২২ রানেই তারা হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে।
শুরুর সেই ধাক্কা তারা সামাল দেয় শ্রেয়াস ও পান্তের ব্যাটে। আসরে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া পান্তকে থামিয়ে ৯৬ রানের জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার কোল্টার-নাইল। ৩৮ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৫৬ রান।
শিমরন হেটমায়ার পারেননি শেষের দাবি মেটাতে। শ্রেয়াসের অপরাজিত ৬৫ রানের সুবাদে দেড়শ ছাড়ায় দিল্লির সংগ্রহ। অধিনায়কের ৫০ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কায়।
৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের সবচেয়ে সফল বোলার বোল্ট। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন কোল্টার-নাইল। উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বোলারদের গড়ে দেওয়া মঞ্চেই পরে শিরোপা উৎসব করল মুম্বাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (স্টয়নিস ০, ধাওয়ান ১৫, রাহানে ২, আইয়ার ৬৫*, পান্ত ৫৬, হেটমায়ার ৫, আক্সার ৯, রাবাদা ০; বোল্ট ৪-০-৩০-৩, বুমরাহ ৪-০-২৮-০, জয়ন্ত ৪-০-২৫-১, কোল্টার-নাইল ৪-০-২৯-২, ক্রুনাল ৩-০-৩০-০, পোলার্ড ১-০-১৩-০)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.৪ ওভারে ১৫৭/৫ (রোহিত ৬৮, ডি কক ২০, সূর্যকুমার ১৯, ইশান ৩৩*, পোলার্ড ৯, হার্দিক ৩, ক্রুনাল ১*; অশ্বিন ৪-০-২৮-০, রাবাদা ৩-০-৩২-১, নরকিয়া ২.৪-০-২৫-২, স্টয়নিস ২-০-২৩-১ , আক্সার ৪-০-১৬-০, দুবে ৩-০-২৯-০)
ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী ও চ্যাম্পিয়ন
ম্যান অব দা ম্যাচ: ট্রেন্ট বোল্ট
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: জফ্রা আর্চার।