আইপিএলে জম্মু ও কাশ্মীরের চতুর্থ প্রতিনিধি সামাদ। এর আগে পারভেজ রসুল, মনসুর দার ও রাসিখ সালাম টিকতে পারেননি এই মঞ্চে। তবে সামাদকে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া বলেই মনে হচ্ছে। যে কারণে তাকে দলে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, পুরোপুরি না পারলেও সেটির কিছুটা ছাপ রাখতে পেরেছেন কদিন আগে ১৯ বছর পূর্ণ করা এই ক্রিকেটার।
২০১৮ সালে একটি ট্রায়ালে সামাদকে দেখে মুগ্ধ হন জম্মু ও কাশ্মীরের ‘মেন্টর’ ইরফান পাঠান ও কোচ মিলাপ মেওয়াড়া। ১৮ গজের উইকেটে ফাস্ট বোলারদের উড়িয়ে মাঠ ছাড়া করছিলেন ১৬ বছর বয়সী সামাদ।
এরপর সামাদকে গড়ে তোলার পালা। সেই প্রক্রিয়া যে ভালোভাবেই মিলছে, প্রমাণ মেলে গত রঞ্জি ট্রফিতে। নিজের অভিষেক আসরে ১০ ম্যাচে সামাদ রান করেন ৫৯২। তবে মূল চমক ছিল অন্য জায়গায়। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচেও স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১১৩! তার ব্যাট থেকে ছক্কা আসে ৩৬টি, অনায়াসেই যা ছিল আসরের সর্বোচ্চ।
রঞ্জি ছাড়াও বিজয় হাজারে ট্রফি, সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দারুণ কয়েকটি ক্যামিও খেলে নজর কাড়েন সামাদ। ছক্কার সামর্থ্যের কথা জেনেই আইপিএলের নিলামে তাকে দলে নেয় সানরাইজার্স।
খুব চোখধাঁধানো কিছু করতে পারেননি তিনি আইপিএলে। তবে কেন তাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেটি ঠিকই দেখাতে পেরেছেন ছোট্ট কয়েকটি ইনিংস ও দারুণ কিছু শটে। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তার লেগ স্পিন বেশ কার্যকর, ফিল্ডিং দুর্দান্ত।
আইপিএলের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রোববার উইলিয়ামসন ও সামাদের জুটিই হায়দরাবাদকে রেখেছিল জয়ের পথে। পরে তারা পেরে ওঠেননি। দুটি করে চার ও ছক্কায় সামাদ করেন ১৬ বলে ৩৩।
ওই ইনিংসের পর সামাদের মেন্টর ইরফান পাঠান টুইট করেন, “তার উচিত ছিল দলকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরা। তার পরও সামাদকে নিয়ে গর্বিত নিজের মানসিকতা ও শক্তির মহড়া মেলে ধরার জন্য।”
সেই টুইট শেয়ার করে যুবরাজ লিখেন, “সামাদ দারুণ সম্ভাবনার ছাপ রেখেছেন। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতের স্পেশাল একজন হতে যাচ্ছে সে।”