আইপিএল ফাইনালে প্রথমবার দিল্লি

ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেওয়া মার্কাস স্টয়নিস বল হাতেও রাখলেন বড় অবদান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 05:56 PM
Updated : 8 Nov 2020, 06:47 PM

আবু ধাবিতে রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হায়দরাবাদকে ১৭ রানে হারায় দিল্লি। শিখর ধাওয়ানের ফিফটিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় কেন উইলিয়ামসনের লড়াকু ফিফটিতে ৮ উইকেটে ১৭২ রানে থামে ডেভিড ওয়ার্নারের দল।

প্রথম দুই আসরে সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া দিল্লির দলটি ২০১২ ও গত আসরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে বিদায় নেয়। দুবাইয়ে আগামী মঙ্গলবার ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হবে তারা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি ধাওয়ান ও স্টয়নিসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায়। ৫১ বলে দুই জনে গড়েন ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তিন রানে জেসন হোল্ডারের হাতে জীবন পাওয়া স্টয়নিস ২৭ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় করেন ৩৮ রান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রশিদ খান।

অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ধাওয়ানকে। চারে নেমে এই ওপেনারের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন শিমরন হেটমায়ার।

শাহবাজ নাদিমকে ছক্কায় উড়িয়ে ২৬ বলে ফিফটি করা ধাওয়ানের ইনিংস শেষ হয় ৭৮ রানে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৫০ বলের ইনিংসে ছয় চারের পাশে দুটি ছক্কা।

শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন হেটমায়ার। ২২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান।

বড় রান তাড়ায় হায়দরাবাদের শুরুটা ছিল বাজে। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি।

অধিনায়ক ওয়ার্নার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক, ফেরেন কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে। স্টয়নিসের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।

শুরু ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে কক্ষপথে ফেরান উইলিয়ামসন। বল হাতে বাজে দিন কাটানো হোল্ডার ব্যাটিংয়ে পারেননি ভালো কিছু করতে।

আব্দুল সামাদকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন উইলিয়ামসন। তাকে থামিয়ে ম্যাচ অনেকটাই দিল্লির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন স্টয়নিস। ৩৫ বলে ফিফটি করা নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের ইনিংস থামে ৬৭ রানে। ৪৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫ চার ও ৪ ছক্কায়। দুটি করে চার ও ছক্কায় সামাদ খেলেন ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।

শেষ দিকে রাবাদার দারুণ বোলিংয়ে আর পেরে ওঠেনি হায়দরাবাদ। চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। এর তিনটিই আসে নিজের শেষ ওভারে।

তিন ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন স্টয়নিস। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৮৯/৩ (স্টয়নিস ৩৮, ধাওয়ান ৭৮, শ্রেয়াস ২১, হেটমায়ার ৪২*, পান্ত ২*; সন্দিপ ৪-০-৩০-১, হোল্ডার ৪-০-৫০-১, নাদিম ৪-০-৪৮-০, রশিদ ৪-০-২৬-১, নটরাজন ৪-০-৩২-০)

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৭২/৮ (গার্গ ১৭, ওয়ার্নার ২, মনিশ ২১, উইলিয়ামসন ৬৭, হোল্ডার ১১, সামাদ ৩৩, রশিদ ১১, গোস্বামী ০, নাদিম ২*, সন্দিপ ২*; অশ্বিন ৩-০-৩৩-০, রাবাদা ৪-০-২৯-৪, নরকিয়া ৪-০-৩৬-০, স্টয়নিস ৩-০-২৬-৩, আক্সার ৪-০-৩৩-১, দুবে ২-০-১৪-০)

ফল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মার্কাস স্টয়নিস