করোনাকালে সিরিজের দৈর্ঘ্য কমানোর আহ্বান কোহলির

লম্বা সফর এমনিতেই ক্লান্তিকর। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নানা বিধি নিষেধের জন্য ক্রিকেটারদের জন্য তা হয়ে উঠতে পারে অসহনীয়। তাই আপাতত যেকোনো সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2020, 02:23 PM
Updated : 6 Nov 2020, 02:23 PM

দুই মাসের বেশি সময় ধরে আইপিএলের জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আছেন কোহলি। এই টুর্নামেন্ট শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলিদের তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি এবং চার টেস্টের সিরিজ শেষ হবে আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ পাঁচ মাসের বেশি সময় পরিবার থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে বেশিরভাগ ভারতীয় ক্রিকেটারদের।

এর পরপরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট ও সীমিত ওভারের সিরিজ খেলার কথা ভারতের। সেটিও জৈব-সুরক্ষা বলয়ে নিজেদের মাঠে আয়োজন করতে চায় ভারতীয় বোর্ড।   

অবশ্য অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিতে পারবেন বলে এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই। তবে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের নিয়মে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আরসিবি টিভিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলি তুলে ধরলেন আইপিএলে তার জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকার অভিজ্ঞতার কথা।   

“এটি তৃপ্তিদায়ক নয়, যখন দলের ছেলেরা দারুণ হয়, তখন অতটা কঠিন মনে হয় না। এই জৈব-সুরক্ষা বলয়ে প্রত্যেকে সত্যিই দারুণ, আবহটা ভালো। ঠিক এই কারণেই আমরা একসঙ্গে খেলতে, জৈব-সুরক্ষা বলয়ে সময়টা উপভোগ করছি। তবে কখনও কখনও এটি কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ এটি তৃপ্তিদায়ক নয়।”

জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকা ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন কোহলি।

“এই বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে। যেমন, টুর্নামেন্ট বা সিরিজের ব্যাপ্তি কত দিনের হবে, ৮০ দিনের মতো একই পরিবেশে থাকার ফলে খেলোয়াড়দের ওপর মানসিকভাবে কী প্রভাব পড়বে। অথবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর বা এমন কিছুর সুযোগ আছে। এই বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।”

“দিন শেষে, খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে সেরা অবস্থায় থাকতে চায়, তা থাকা নির্ভর করে তারা কেমন বোধ করছে এর ওপর। এই আলোচনাগুলো নিয়মিত হওয়া উচিত।”