প্রেসিডেন্ট’স কাপের প্রথম ম্যাচে দলের বিপর্যয়ে নেমে দারুণ ফিফটি করে ম্যাচ সেরা হন হৃদয়। পরের চার ম্যাচের তিনটিতে উইকেটে থিতু হয়েও বড় রান করতে পারেননি। শুক্রবার হাই পারফরম্যান্স দলের অনুশীলনের ফাঁকে তিনি বললেন, মুশফিকদের কাছ থেকে শিখতে পারাই ওই টুর্নামেন্ট থেকে তার বড় প্রাপ্তি।
“সিনিয়রদের সঙ্গে খেলা একটা বড় সুযোগ ছিল আমাদের জন্য। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পেরেছি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বিশেষ করে মুশফিক ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। উনি সবসময় কিভাবে এত শৃঙ্খলার মধ্যে থাকেন, সেসব দেখে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।”
গত যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারের ভরসা ছিলেন হৃদয়। যুব ওয়ানডে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার তিনি, ৪৭ ম্যাচে এক হাজার ৬২৪ রান করেছেন ৪৭.৭৬ গড়ে। সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যুব ওয়ানডেতে টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনি।
শুধু যুব পর্যায়ে নন, সাফল্য পেতে শুরু করেছেন পরের ধাপেও। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছেন বেশ ভালো। ২৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটিতে ৮২০ রান করেছেন ৪৫.৫৫ গড়ে। এই প্রতিভা, সামর্থ্য ও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখেই টানা দ্বিতীয়বার তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে এইচপি দলে।
সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ১৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান নিজেকে তৈরি করে তুলতে চান ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য।
“এইচপি আগেও করেছি একটা (ক্যাম্প), এবারও করছি। এখানে অফ সিজনে নিজেকে প্রস্তুত করার কাজ করা যায়। পরের পর্যায়ের জন্য তৈরি হওয়া যায়। আমরা সবাই চেষ্টা করছি স্কিলে উন্নতি করতে। ভবিষ্যতে যেন আরও স্কিলফুল ক্রিকেটার হতে পারি, এই চেষ্টা করছি।”