দক্ষিণ আফ্রিকার মর্কেল এখন অস্ট্রেলিয়ার

বিগ ব্যাশের গত আসরে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন মর্নে মর্কেল। সেই তিনিই এবার খেলবেন স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে। ব্রিজবেন হিটের সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তি করেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2020, 07:25 AM
Updated : 6 Nov 2020, 09:30 AM

মর্কেলের স্ত্রী জনপ্রিয় ক্রীড়া উপস্থাপক রোজ কেলি অস্ট্রেলিয়ান। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে সিডনিতেই থিতু হয়েছেন মর্কেল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে তার আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। তবে দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে অনুমতি পেয়েছেন তিনি।

বিগ ব্যাশ লিগের নিয়ম অনুযায়ী, ‘পার্মামেন্ট রেসিডেন্সি’ পাওয়া ক্রিকেটাররা স্থানীয় হিসেবে বিবেচিত হবেন, যদি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন মনে করে যে ওই ক্রিকেটার ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এবং অন্য কোনো আইসিসি পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন না বলে রাজি থাকেন। মর্কেলের অন্য কোনো দেশের হয়ে খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই অনুমতি পেয়ে গেছেন।

মাত্র দুই দিন আগেই কাউন্টি দল সারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন মর্কেল। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর কলপ্যাক চুক্তিতে সারেতে খেলছিলেন এই পেসার। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ইংল্যান্ড বেরিয়ে যাওয়ায় কলপ্যাক চুক্তি এখন না থাকায় আগামী মৌসুমে বিদেশি হিসেবেই এই পেসারকে পেতে আগ্রহী ছিল সারে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতা ও লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকার শঙ্কা মিলিয়ে চুক্তি প্রত্যাহার করে নেন মর্কেল।

এবার শুরু হচ্ছে তার নতুন অধ্যায়,  মর্কেল তাতে বেশ রোমাঞ্চিত।

“ আমি এখনও দারুণভাবে ক্রিকেট উপভোগ করছি এবং ব্রিজবেন হিট স্কোয়াডের অংশ হওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে মুখিয়ে আছি। স্বীকার করছি, নিজেকে স্থানীয় ক্রিকেটার বলাটা একটু অদ্ভূত হবে আমার জন্য তবে আমরা এখানে বাস করা ও কাজ করা উপভোগ করছি। জীবনের নতুন একটি ধাপ এটি এবং আগ্রহ নিয়েই তাকিয়ে আছি এটির দিকে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮৬ টেস্টে ৩০৯ উইকেট নিয়েছেন মর্কেল, ১১৭ ওয়ানডেতে নিয়েছে ১৮৮ উইকেট, ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে ৪৭টি। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক সময় তিনি ছিলেন এক নম্বর বোলার, টেস্টে উঠেছিলেন তিন নম্বর পর্যন্ত।