যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকায় পা রেখেছেন সাকিব। বিমানবন্দরে ছিল সংবাদকর্মীদের ভিড়। ভক্তদের ছোট্ট একটি দলও ছিল তাকে স্বাগত জানানো ব্যানার ও ফুল হাতে।
দেশের বাইরে এভাবে যাওয়া-আসা তার নিয়মিতই হয়। তবে এবারের ফেরা একটু অন্যরকম, তিনি নিজেই বললেন বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে। নিষেধাজ্ঞা থেকে এখন মুক্ত বলে কথা!
“ আপনাদের দেখে ভালো লাগছে, সবাই আছেন এখানে। অবশ্যই এবার যখন দেশে এসেছি, একটা স্বস্তি নিয়ে এসেছি। এর আগে যখন এসেছি, তখন ওরকম স্বস্তিতে ছিলাম না, কিন্তু এখন সে জায়গা থেকে অনেক স্বস্তিতে আছি। এখন আমার দায়িত্ব, সবার এই যে ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন, এসবের প্রতিদান দেওয়া।”
“ (এবারের ফেরা) অবশ্যই একটু ব্যতিক্রম, অন্যান্যবার হয়তো কোনো জায়গা থেকে খেলে আসি বা ঘোরা শেষে দেশে ফিরি। এবারও হয়তো কোনো একটা কাজ শেষে এলাম দেশে। কিন্তু এবার যেটা হলো, মাথার উপর যে চাপ ছিল, সেটা ছেড়ে আসতে পারলাম।”
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরে নিজেকে তৈরি করার অভিযানে নেমেছিলেন সাকিব। চার সপ্তাহ নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন বিকেএসপিতে। পরে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে গেলে অক্টোবরের শুরুতে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি।
সব ঠিকঠাক থাকলে এই মাসেই বিসিবির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব। তবে নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে, সেটিও জানিয়ে রাখলেন।
“ আমি তো আশা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (ফিরতে), তবে তাড়াহুড়ো করতে চাই না। অন্য সবার মতো আমারও সময় প্রয়োজন। আশা করি সময়টা পাব এবং তার ভেতরে নিজেকে ওভারে তৈরি করে নিতে পারব।”
“যে অবস্থায় ছিলাম, অবশ্যই সে অবস্থায় নেই। যেহেতু এক মাসের একটা গ্যাপ গেল, স্বাভাবিকভাবেই আবার বেশ খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছি। সময় তাই লাগবে। এই টুর্নামেন্ট শেষ হতে হতে আশা করি আমার পুরো ফিটনেস ফিরে পাব।”
“সব খেলাই প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমার প্রস্তুতি অনেক ভালো হবে যদি পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারি ভালোভাবে। যেহেতু সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার কথা, সেদিক থেকে চিন্তা করলে প্রস্তুতির জন্য এই টুর্নামেন্টই একমাত্র জায়গা। সব খেলোয়াড়ই এখানে প্রস্তুতিটা নিতে পারবে।”
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন সাকিব। তবে কিছু না করেই এক নম্বরে থেকে যাওয়ায় খুব কৃতিত্বের কিছু দেখছেন না তিনি। বরং সামনে নিজেকে তুলে নিতে চান নতুন উচ্চতায়।
“ দেখুন, আমি তো আসলে কিছু করিনি। যেখানে ছিলাম, ওখানেই আছি। চেষ্টা তো থাকবে প্রতিদিন নিজেকে… যেন আরও বেশি উন্নতি করতে পারি। নিজের জায়গা থেকে এবং নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাকে যেন আরও ছাড়িয়ে যেতে পারি।”