মাহমুদউল্লাহর উপহার পেয়ে রোমাঞ্চিত মাহমুদুল

প্রেসিডেন্ট’স কাপে মাহমুদুল হাসান জয় ছিলেন মাহমুদউল্লাহর দলে। নিজের প্রথম ম্যাচে তরুণ এই ব্যাটসম্যান ব্যাট করেছিলেন চার নম্বরে। পরের ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহ বললেন, “তিনে ব্যাট করতে পারবি?” মাহমুদুল রাজি হয়ে গেলেন সানন্দে। তিনে নেমে ফিফটিও করলেন। পরের অনুশীলন সেশনেই অধিনায়কের কাছ থেকে তিনি উপহার পেলেন একটি ব্যাট! সেই রোমাঞ্চের রেশ এখনও রয়ে গেছে মাহমুদুলের মনে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2020, 12:12 PM
Updated : 5 Nov 2020, 12:19 PM

গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাহমুদুল। সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট মাতিয়ে এখন তিনি আছেন বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলে। পাশাপাশি কদিন আগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট’স কাপে।

এইচপির অনুশীলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রেসিডেন্ট’স কাপে খেলার অভিজ্ঞতা শোনালেন মাহমুদুল। বললেন অধিনায়কের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের কথাও।

“তিনটা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছি ( প্রেসিডেন্ট’স কাপে), যতটা সম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। সিনিয়র ভাইদের সাথে আমরা ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে পেরেছি, এটায় আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। অনেক কিছু জানতে পেরেছি উনাদের থেকে।”

“আমাদের টিম প্ল্যান ছিল আমি চার নম্বরে ব্যাটিং করব। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) হঠাৎ এসে বললেন, ‘তুই তিনে ব্যাট করতে পারবি?’ আমি বললাম, ‘জ্বী ভাই, পারব।’ উনি শুধু আমাকে বলেছিলেন যে ‘তুই শুধু নতুন বলটাকে একটু পুরানো করে দিয়ে আসবি। বাকিটা আমরা দেখে নেব।’ আমার কাছে রোমাঞ্চকর ব্যাপার ছিল যে উনার প্ল্যানে আমি সফল হতে পেরেছিলাম (৫৮ করেছিলেন সেদিন)। তারপর উনি আমাকে একটা ব্যাট গিফট করেন, পরের প্র্যাকটিস সেশনে।”

বাংলাদেশ যুব দলে সাধারণত তিনেই ব্যাট করতেন মাহমুদুল। যুব ওয়ানডেতে তার রেকর্ডও দারুণ। ৩১ ম্যাচ খেলে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন, ওই পর্যায়ে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪৭.৩৬ গড়ে রান করেছেন এক হাজার ১৮৪। এবার প্রেসিডেন্ট’স কাপ খেলে পরের ধাপের ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন কিছুটা। দুই পর্যায়ের সঙ্গে পার্থক্যও ধরতে পেরেছেন তিনি।

“পার্থক্যটা অনেক। ওটা ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ আর এটা জাতীয় দলের সিনিয়রদের সঙ্গে খেলা। অনেক কিছু আমরা শিখতে পেরেছি। ভাইদের কাছে থেকে জেনেছি অনেক কিছু। যখন সমস্যা হয়েছে, উনাদের কাছে যেটা জিজ্ঞাসা করেছি, উনারা সেটা ভালোভাবে বলেছেন। আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।” 

এইচপির ক্যাম্পে প্রধান কোচ টবি র‍্যাডফোর্ড ব্যাটসম্যানদের টেকনিক নিয়ে কাজ করছেন অনেক। মাহমুদুল সেটা উপভোগ করছেন দারুণ। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তিনি পোক্ত করতে চান এই ক্যাম্প দিয়ে।

“নতুন নতুন অনেক টেকনিকের কাজ উনি (র‍্যাডফোর্ড) দেখিয়ে দিচ্ছেন। এটার ওপর আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। টেকনিকে যদি শক্তিশালী হতে পারি, তাহলে আগামীতে আমরা আরও ভালো কিছু করব।”