টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চমকপ্রদ ধারাবাহিকতায় ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এখন মালান। গত সেপ্টেম্বরে বাবর আজমকে টপকে তিনি উঠে গেছেন এক নম্বরে।
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতেও তাকে নিয়ে আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। বিপিএল, পিএসএল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সামনে বিগ ব্যাশে খেলবেন হোবার্ট হারিকেন্সে হয়ে।
বিগ ব্যাশে খেলতে যাওয়া নিয়েই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটের সঙ্গে কথা বললেন মালান। সেখানে উঠে এলো তার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার প্রসঙ্গও। মালান খুব একটা পাত্তাই দিলেন না র্যাঙ্কিংকে।
“আমি চেষ্টা করি এসব ব্যাপার খেয়াল না করতে। এক নম্বর হতে পারা অবশ্যই বড় সম্মান, তবে স্রেফ ওটুকুই। এটা তো স্রেফ কাগজের টুকরায় থাকা কিছু একটা। ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্ব হলো রান করা, সেটা কেউ ১ নম্বরে থাকুক বা ১০০ নম্বরে।”
মালানের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার একটি উল্লেখযোগ্য দিক, মাত্র ১৬ ম্যাচ খেলেই এক নম্বরে উঠে গেছেন তিনি। ব্যাটিং গড় তার ৪৮.৭১, স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৬৬। আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে আপাতত তার নিচে আছেন বাবর আজম, অ্যারন ফিঞ্চ, লোকেশ রাহুল, কলিন মানরো, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।
তবে বরাবরই বিনয়ী এই ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বলছেন, এখনই বাবর-ফিঞ্চদের সঙ্গে তার তুলনা চলে না।
“অন্যরা ৫০, ৬০ বা প্রায় ১০০ ম্যাচ খেলেছে দেশের হয়ে। আমি মাত্র কিছু ম্যাচ খেলেছি। লম্বা সময় ধরে বা ৩০-৪০টি ম্যাচ খেললে তুলনা করা শুরু করা যায়। আমার জন্য চ্যালেঞ্জ হলো, যেভাবে এখনও পর্যন্ত খেলে আসছি, এভাবেই আরও ১০-২০টি ম্যাচ খেলতে পারা। আমার মনে হয়, এরপরই কেবল বিচার করা যাবে।”