পিএসএল খেলতে যাচ্ছেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ

পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শেষ ধাপে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ। তামিম খেলবেন লাহোর কালান্দার্সে, মাহমুদউল্লাহ মুলতান সুলতানসে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2020, 01:34 PM
Updated : 2 Nov 2020, 01:57 PM

এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য সোমবার বিসিবির অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন তারা। দুজনই আগে খেলেছেন পিএসএলে। ২০১৭ ও ২০১৮ পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ পিএসএলে তামিম খেলেছেন পেশাওয়ার জালমিতে।
 
এবারের পিএসএল শেষ পর্যায়ে এসে করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে যায় গত মার্চে। টুর্নামেন্টের দুটি এলিমিনেটর ম্যাচ, একটি কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচ কেবল বাকি আছে। আগামী ১৪, ১৫ ও ১৭ নভেম্বর ম্যাচগুলি হবে করাচিতে।
 
বিসিবির আয়োজনে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আগামী ১৫ নভেম্বর শুরু হতে পারে বলে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানালেন, টুর্নামেন্টটি আরও কয়েকদিন পর শুরু হবে। তামিমদের তাই পিএসএলে যেতে বাধা নেই।
 
এবার আইপিএলে দুটি দল থেকে প্রস্তাব পেয়েও বোর্ডের ছাড়পত্র পাননি মুস্তাফিজুর রহমান। তামিমদের অনুমতি দেওয়ার প্রেক্ষাপট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ব্যাখ্যা করলেন আকরাম খান।
 
“মুস্তাফিজের প্রস্তাব যখন এসেছিল, তখন আমাদের এখানে প্র্যাকটিস চলছিল। জাতীয় দলের খেলা ছিল সামনে। শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। সব ভেবেই তখন মুস্তাফিজকে অনুমতি দেইনি আমরা।”
 
“এখন তো আমাদের এখানে খেলা নেই, ক্যাম্পও নেই আপাতত। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সপ্তাহখানেক অন্তত পেছাতে যাচ্ছে। এখন তাই ওদের দুজনকে খেলতে না দেওয়ার কারণ নেই।”
 
পিএসএলে খেলতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারই। মাহমুদউল্লাহ বললেন, কঠিন এই সময়ে ক্রিকেট হতে পারে খুশির উপলক্ষ্য।
 
“পিএসএলে খেলার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সম্মানের। এই বছর ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। আশা করি, আমাদের ভক্তদের মুখে হাসি ফোটানোয় অবদান রাখতে পারব আমি।”
 
তামিম অবদান রাখতে চান দলের শিরোপা জয়ে।
 
“পিএসএলে ফেরার জন্য তর সইছে না আমার। লাহোর কালান্দার্স খুবই ভালো খেলেছে এখনও পর্যন্ত। আমাদের দলের ট্রফি জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই আমি।” প্রাথমিক পর্ব শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে মুলতান সুলতানস। মাহমুদউল্লাহ তাই অন্তত দুটি ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন নিশ্চিতভাবেই। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ১৪ নভেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ করাচি কিংস। জিতলে তার উঠবে ফাইনালে, হারলে পরদিন খেলবে দ্বিতীয় এলিমিনেটরে।
 
তামিমের পিএসএল অভিযান হতে পারে এক ম্যাচ থেকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত। লাহোর কালান্দার্স ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার তিনে। ১৪ নভেম্বর প্রথম এলিমিনেটরে তামিমদের প্রতিপক্ষ পেশাওয়ার জালমি। ওই ম্যাচ জিতলে দ্বিতীয় এলিমিনেটর খেলতে হবে তাদের ১৫ নভেম্বর। সেখানে জিতলে ১৭ নভেম্বর ফাইনাল।
 
টুর্নামেন্টে খেলতে আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকা ছাড়তে পারেন দুজন।