মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে সোমবার ৮০ ওভারে ৭ উইকেটে ৪০৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে টিম ‘এ।’
এইচপি স্কোয়াডের ক্যাম্পে যা শেখানো হচ্ছে, সেসবের অগ্রগতি দেখতেই মূলত এই ম্যাচের আয়োজন। গত কিছুদিনে ব্যাটসম্যানদের টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করেছেন এইচপির কোচ টবি র্যাডফোর্ড। প্রথম দিনে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে তার খুশিই হওয়ার কথা।
দুই পরিবর্ত পেসার রেজাউর রহমান ও শাহিন আলম বোলিংয়ে এসে রানের রাশ টেনে ধরেন কিছুটা। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করা তানজিদকে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেন রেজাউর।
তবে সময়ের সঙ্গে আরও ভালো খেলতে থাকেন শাহাদাত। শাহিন আলমের বলে চোখজুড়ানো তিনটি স্ট্রেট ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন তিনি। এই পেসারের বাড়তি লাফানো বলেই একবার খানিকটা চোট পান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে দ্রুতই সামলে নিয়ে আবার খেলতে থাকেন দারুণ। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম আক্রমণে আসার পর একের পর এক কাট শটে এলোমেলো করে দেন তাকে।
তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয় শুরুটা করেছিলেন ভালোই। কিন্তু ৩০ রানে তাকে থামান শরিফুল। এই দলের অধিনায়ক আফিফ হোসেন উইকেটে যাওয়ার পরপরই বাউন্ডারি পান দুটি। কিন্তু ১২ রানেই তার ইনিংস শেষ হয় রেজাউরের বলে।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন আকবর ও শাহাদাত। চতুর্থ উইকেটে ১৩৭ রান যোগ করেন দুজন। শাহাদাতের সেঞ্চুরিটা যখন কেবল মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, নোমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। ১৬২ বলে তার ৯৪ রানের ইনিংসে চার ১৪টি।
১৩৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন আকবর। সেঞ্চুরি পরও দ্রুততায় রান তুলেছেন তিনি। তাকে ফেরান শাহিন। ১৬১ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসে ছিল ২০ চার, দুটি ছক্কা।
শামীমের ঝড়ও থামান শাহিনই। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ৪৬ বলে ৬৭।
বোলারদের মধ্যে শরিফুল শুরুটা ভালো করলেও পরে ছিলেন দারুণ খরুচে। দুই স্পিনার তানভির ও রিশাদ হোসেন একদমই প্রভাব ফেলতে পারেননি। দুই পেসার শাহিন ও রেজাউরই যা একটু ভালো করেছেন। শাহিনের গতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।
টিম ‘এ’: ৮০ ওভারে ৪০৬/৭ ইনিংস ঘোষণা (তানজিদ ৩৫, শাহাদাত ৯৪, মাহমুদুল ৩০, আফিফ ১২, আকবর ১৩৬, শামীম ৬৭, সুমন ৯, রকিবুল ২*, মুকিদুল ১*; শরিফুল ২০-২-১০২-২, নোমান ৮-১-৫০-১, রেজাউর ১৫-১-৬৩-২, শাহিন ১৫-১-৭১-২, তানভির ১৫-১-৮২-০, রিশাদ ৮-১-৩৬-০)।