নিজেকে গড়ে তোলার অভিযানে আকবর

হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্যাম্পে আকবর আলির যেন ব্যস্ততার শেষ নেই। ফিটনেস ট্রেনিং তো আছেই, ব্যাটিং আর কিপিং নিয়েও টানা কাজ করতে দেখা যায় তাকে প্রতিদিন। অনুশীলনের সময়টুকুতে তার ফুরসত মেলে সামান্যই। এভাবে ঘাম ঝরিয়েই সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তরুণ এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2020, 12:32 PM
Updated : 31 Oct 2020, 12:33 PM

আকবরের নেতৃত্বে গত ফেব্রুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এই সাফল্য তার সঙ্গে জুড়ে গেছে আজীবনের জন্য। বিশ্বকাপজয়ী দলের আরও একঝাঁক ক্রিকেটার আছেন এবার এইচপি দলে।

তবে আকবর ভালো করেই জানেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সাফল্য সামনে কাজে লাগবে সামান্যই। মিরপুর একাডেমি মাঠে শনিবার অনুশীলনের ফাঁকে ১৯ বছর বয়সী কিপার-ব্যাটসম্যান জানালেন সেই উপলব্ধির কথা।

“আমার মনে হয় না, ওইটা নিয়ে (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়) এখন কেউ চিন্তা করে। ৮-৯ মাস হয়ে গেছে। যখন মনে হয়, তখন অবশ্যই ভালো লাগে। তবে এখন সামনে তাকাতে হবে।”

সামনে তাকানোর পাশাপাশি নিকট অতীতেও খানিকটা তাকাতে হচ্ছে আকবরকে। সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট’স কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে পরের ধাপের পার্থক্যও কিছুটা বুঝে গেছেন। দুটি ম্যাচ খেলেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন চরমভাবে।

তবে এই ব্যর্থতার মাঝেও বড় একটা প্রাপ্তি দেখছেন আকবর, যা কাজে লাগাতে চান ভবিষ্যতে।

“ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য একটু কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল (প্রেসিডেন্ট’স কাপ)। তবে এক সপ্তাহের ওপরে ছিলাম, শিখতে পেরেছি অনেক কিছু। তামিম ভাই, মিঠুন ভাই, বিজয় (এনামুল হক) ভাইদের সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। যতটা সম্ভব, তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। তারাও অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন। আশা করি, তাদের সেই কথা ও অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে পারব।”

সেসব কাজে লাগানোর জন্য নিজেকে এখন শাণিত করার চেষ্টা করছেন এইচপির ক্যাম্পে। খুব বেশি দূরে তিনি তাকাচ্ছেন না, খুব বড় লক্ষ্যে বুঁদ হয়ে যাচ্ছেন না। এগোতে চান একটু একটু উন্নতি করে।

“আমি যেখানে থাকি সেখানেই উপভোগ করার চেষ্টা করি ও সর্বোচ্চ শেখার চেষ্টা করি। এখন এইচপিতে আছি, উপভোগ করার ও শেখার চেষ্টা করছি। ক্যাম্প তো সবসময় উন্নতি করার জন্য। মূল ব্যাপারটি সিম্পল, আগে যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে উন্নতি করাই লক্ষ্য। কয়েকদিন হলো ক্যাম্পের। ভালোই হচ্ছে।”