ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিলিয়ে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া বৃহস্পতিবার। গ্রিনের পাশাপাশি এই স্কোয়াডে আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাম মোইজেস হেনরিকস।
তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়া দলে সবশেষ খেলেছিলেন হেনরিকস। ৩৩ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দলে ফিরেছেন মূলত চোটের কারণে মিচেল মার্শ না থাকায়। গত বিগ ব্যাশে সিডনি সিক্সার্সকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হেনরিকস, তার নিজের পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ। এবার শেফিল্ড শিল্ডেও কদিন আগে খেলেছেন ১৬৭ রানের ইনিংস।
সবচেয়ে বড় খবর অবশ্য গ্রিনের ডাক পাওয়াই। ১৭ বছর বয়সে শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ২০১৭ সালে। পরে ক্রমেই সাড়া ফেলেছেন তার ব্যাটিং প্রতিভা দিয়ে। গত সপ্তাহেই শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে খেলেছেন ১৯৭ রানের ইনিংস।
সীমিত ওভারের দলে নেওয়া হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রিন। ১৭ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ১ হাজার ৯৭ রান করেছেন ৫২.২৩ গড়ে। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন মোটে ৯টি, টি-টোয়েন্টি ১৩টি। পারফরম্যান্স বলার মতো নয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হন্স বললেন, মূলত দলের সঙ্গে রেখে অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে গ্রিনকে। সুযোগ হলে মাঠে নামিয়েও পরখ করা হতে পারে। ভবিষ্যতে তাকিয়ে মূলত বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেই তাকে নিয়ে ভাবনা বেশি। গ্রেগ চ্যাপেল বলেই দিয়েছেন, এখন থেকেই প্রস্তুত করা হলে পরের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক হতে পারবেন গ্রিন।
স্বয়ং রিকি পন্টিংও গত বছর বলেছিলেন, এখনই তিনি গ্রিনকে দেখতে চান টেস্ট দলে। সব মিলিয়ে তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে প্রত্যাশা আকাশচুম্বি।
অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ সীমিত ওভারের সিরিজ ছিল গত মাসে ইংল্যান্ড সফরে। সেই দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার রাইলি মেরেডিথ ও টেস্ট দলের মূল স্পিনার ন্যাথান লায়ন।
অস্ট্রেলিয়া দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউড, মোইজেস হেনরিকস, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ড্যানিয়েল স্যামস, কেন রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম জ্যাম্পা।