আর্চারের বোলিংয়ে টেন্ডুলকারের চোখের শান্তি

নাসের হুসেইনের পর এবার জফ্রা আর্চারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শচিন টেন্ডুলকার। ডেভিড ওয়ার্নারকে ‘বানি’ বানানো ইংলিশ এই পেসারের নিখুঁত লাইন-লেংথের গতিময় বোলিং দেখতে শান্তি অনুভব করেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির মতে, আর্চারের বিপক্ষে নিরুপায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2020, 04:46 PM
Updated : 25 Oct 2020, 04:46 PM

আইপিএলের চলতি আসরে দুইবার মুখোমুখি হয়ে দুইবারই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ককে ফেরান আর্চার। চলতি বছর সাত বারের দেখায় ওয়ার্নারকে ৬ বার আউট করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন সাত বার।

টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় রোববার আর্চারকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন টেন্ডুলকার।

“ওয়ার্নারের করার বেশি কিছু ছিল না। তাকে সেই জায়গায় থাকতে হতো এবং এরপর মুভমেন্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হতো…। আমি জফ্রার মধ্যে যেটা দেখেছি, সেটা হলো সে উইকেটের খোঁজে ছিল। সে শুরু থেকেই খুবই আগ্রাসী বোলিং করছিল। সেভাবেই গা-গরম করে রেখেছিল এবং প্রথম ওভারে (স্পিড গানে) তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৮, ১৫০, ১৫২ কিলোমিটার।”

“সে ভালো গতিতে বোলিং করছে এবং ব্যাটসম্যানদের আউট করছে। ব্যাটসম্যানরা স্লগ করতে আউট হচ্ছে না, তারা তাদের উইকেট হারাচ্ছে। সে মূলত তাদের আউট করছে। সে অসাধারণ, তার বোলিংয়ে যে আগ্রাসন দেখেছি তা অবিশ্বাস্য, দেখার মতো। দেখতেই শান্তি। একজন ফাস্ট বোলার গতিময় বোলিং করছে, উইকেটে জোরে আঘাত করছে…।”

ওয়ার্নারের বিপক্ষে আর্চারের বোলিংয়ে এই পেসারের দারুণ বুদ্ধিমত্তা আর স্কিলের ছাপ চোখে পড়েছে টেন্ডুলকারের।

“সে মিডল স্টাম্পে বল করছে এবং সেটাকে বের করে নিচ্ছে। যখন ওয়ার্নার বল দেখে, সেটা লাইনেই ছিল, কিন্তু পরে বের হয়ে যায়…যেহেতু বল বের হয়ে যাচ্ছিল, তার পক্ষে ফ্লিক করাও সম্ভব ছিল না। তাকে ওই একই জায়গায় থেকেই খেলতে হয়েছে।”

“আর্চার ওই সুযোগটাই নেয়। সে ওয়ার্নারকে কাট করার জন্য, হাত খুলে খেলার জন্য যথেষ্ট জায়গা দেয় না। অফ-মিডল স্টাম্পে বল করে সেটাকে বের করে নেয়। আর ব্যাটসম্যানের হাত যখন শরীর থেকে দূরে সরে যায়, সেই লড়াইয়ে সব সময় বোলারই জেতে।”