পাকিস্তান দলে ভবিষ্যৎ না দেখে ধারাভাষ্যে বাট

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর জাতীয় দলে ফেরার লড়াই অনেক দিন চালিয়েছেন সালমান বাট। লাভ কিছু হয়নি। এবার তাই ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিকল্প ভাবছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আপাতত ধারাভাষ্য দিয়ে শুরু করছেন নতুন ক্যারিয়ার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2020, 05:42 AM
Updated : 25 Oct 2020, 05:42 AM

রোববার থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফি। টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ড থেকে ধারাভাষ্য দেবেন বাট। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে আপাতত খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।

বাটের জাতীয় দলে ফেরার আশা টিকে ছিল মূলত টেস্ট দলকে ঘিরেই। ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তাই ইতি বলেই ধরে নেওয়া যাওয়া যায়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ঘরোয়া দলেও তিনি এখন আর নিয়মিত সুযোগ পান না। 

কায়েদ-ই-আজম ট্রফির সেন্ট্রাল পাঞ্জাব দলে শুরুতে বাটের নাম থাকলেও পরে তিনি প্রত্যাহার করে নেন নিজেকে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানালেন খেলা ছেড়ে দিয়ে সামনে তাকানোর কারণ। 

“বুঝতে পারছি যে পাকিস্তান দলে আমার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমি ক্রিকেট খেলেছি সম্মানের সঙ্গে এবং ফেরার পর (নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে) অনেক রান করেছি। জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্য ছিল, তাই পারফর্ম করার তাড়না ছিল।”

“ এ বছর নিজেকে প্রশ্ন করলাম, ‘আমি কি করছি? কেন খেলা চালিয়ে যাচ্ছি? আরেক মৌসুম যদি খেলি, সেটির কারণ কি?’ অনেক ভেবেই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছি যে তারা আমাকে দলে নেবে না। এজন্যই বিকল্প কিছু চেষ্টা করছি যেখানে ভূমিকা রাখতে পারি এবং পার্থক্য গড়তে পারি।”

২০১০ সালে তুমুল আলোচিত স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাটের গুরু মনে করা হয় সেই সময়ের পাকিস্তান অধিনায়ক বাটকে। ইংল্যান্ডে জেল খেটে ও ক্রিকেট থেকে ৫ বছর নিষিদ্ধ থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবার পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফেরেন বাট।

ফেরার পর পাকিস্তানের ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে সেঞ্চুরি করেন বাট, ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরারও হন। ওই বছর কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দলকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন ফাইনালে জোড়া সেঞ্চুরি করে। এরপর গত কয়েক বছরে সব সংস্করণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে গেছেন নিয়মিত।

জাতীয় দলে তার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকবারই। বিশেষ করে টেস্ট দলের টপ অর্ডার নিয়ে ভুগতে হওয়ায় বারবার বিবেচিত হয়েছে বাটের নাম। সেই সময়ের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, কোচ ওয়াকার ইউনিস, এমনকি ২০১৭ সালে তখনকার বোর্ড প্রধান শাহরিয়ার খান পর্যন্ত বাটের দলের ফেরার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বারবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাটের অতীত। ফিক্সিং কাণ্ডের কারণেই তাকে নিয়ে সতর্ক ছিল পাকিস্তানের বোর্ড। সুযোগ তাই আর পাননি তিনি।

পাকিস্তানের হয়ে ৩৩ টেস্ট, ৭৮ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাট। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫ টেস্টে।