ইংল্যান্ড দলের বদলে যাওয়ার পেছনে বাটলারের কতটা প্রভাব তা ভালোভাবে তুলে ধরতে ব্যর্থ পরিসংখ্যান। ১৪৫ ওয়ানডে খেলা এই ব্যাটসম্যানের গড় ৪০ এর একটু নিচে। ৯ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে ১১৯.০৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন তিন হাজার ৮৫৫ রান। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৭১টি, ৯ ফিফটিতে ২৮.৫২ গড়ে রান করেছেন এক হাজার ৪৫৫। এই সংস্করণে তার স্ট্রাইক রেট ১৪০ এর উপরে।
দলের প্রয়োজনের সময় বরাবরই চওড়া বাটলারের ব্যাট। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নেমে বেন স্টোকসের সঙ্গে গড়েন দারুণ জুটি। ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান আছে সেই জুটির। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে ৩০ বছর বয়সী বাটলারকে প্রশংসায় ভাসান রুট।
“জস (বাটলার) এখন পর্যন্ত পাওয়া আমাদের সবচেয়ে পরিপূর্ণ সাদা বলের ব্যাটসম্যান। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সে খেলতে পারে। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিতে এবং খুব দ্রুত খেলার লাগাম নিজেদের হাতে নিয়ে আসতে সক্ষম সে।”
লাল বলের ক্রিকেটে এখনও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি বাটলার। ৪৭ টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং গড় কেবল ৩৩.৯০। ফিফটি ১৭টি, সেঞ্চুরি মাত্র দুটি। এই সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বাটলারের মিল খুঁজে পান রুট।
নিজের প্রথম ৫০ টেস্টে ৪২.৪১ গড়ে রান করা ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি ছিল আটটি। এরপর ১০০ টেস্ট শেষে তার গড় ছিল ৫২.১৪, সেঞ্চুরি ২১টি। বাটলারও সেই পথেই আছেন বলে মনে করেন রুট।
সব শেষ ইংলিশ গ্রীষ্মে বাটলারের টেস্ট পারফরম্যান্সে রুট খুঁজে পাচ্ছেন আস্থার জায়গা। ঘরের মাঠে ৬ টেস্টে তিনি রান করেন ৫২.০০ গড়ে, এক সেঞ্চুরি ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফিফটি এসেছিল তার ব্যাট থেকে। রুট মনে করেন, বাটলারের সেরাটা এখনও পর্যন্ত পায়নি ইংল্যান্ড।
“আমি মনে করি, সে অসাধারণ একজন খেলোয়াড় এবং আমরা তার সেরাটা এখনও দেখিনি। আশা করি, টেস্ট ক্রিকেটে এই গ্রীষ্ম তার জন্য দরজা খুলে দিতে পারে। তার মধ্যে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ছাপ দেখি, যিনি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে মানাতে তার ৫০ ম্যাচ লেগেছিল। সত্যি বলতে, আমার মনে হয়, এটা জসের ক্ষেত্রেও হতে পারে।”