প্রেসিডেন্ট’স কাপ দিয়ে ক্রিকেটারদের মূল্যায়ন করছেন না কোচ

চলতি প্রেসিডেন্ট’স কাপে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের খুব গভীরে যেতে চান না রাসেল ডমিঙ্গো। করতে চান না কাটাছেঁড়া কিংবা বিশ্লেষণ। বরং লড়াইয়ের আবহে ফেরা এবং ম্যাচ অনুশীলনকেই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 06:06 AM
Updated : 23 Oct 2020, 06:06 AM

বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর পিছিয়ে যাওয়ার পর অনেকটা হুট করেই একদিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। তিন দলের আসরের ফাইনালে রোববার মুখোমুখি হবে শান্ত একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেলা টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ কতটা থাকবে, মান কেমন হবে, এসব নিয়ে সংশয় ছিল যথেষ্টই। ফাইনালের আগ পর্যন্ত যা দেখেছেন ডমিঙ্গো, তাতে বেশ তৃপ্ত তিনি।

“ খুবই খুশি আমি। দারুণ একাগ্রতা নিয়ে ছেলেরা খেলেছে বলেই মনে হয়েছে। ওরা কঠোর ট্রেনিং করেছে, বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। ব্যাটসম্যানরা আরও কিছু রান করতে পারলে ভালো হতো। তবে মনে রাখতে হবে, প্রায় সাত মাস ওরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেনি। অনেকেই মাত্র দুই-এক সপ্তাহ আগে দলের সঙ্গে ট্রেনিং শুরু করেছে।”

“ কোচ হিসেবে আমার নিশ্চিত করার ব্যাপার ছিল ছেলেদের ম্যাচ খেলানো নিশ্চিত করা। ম্যাচের চেয়ে ভালো অনুশীলন আর নেই। সব ম্যাচেই লড়াই হয়েছে। উইকেট সহজ ছিল না। তরুণ কয়েকজন ভালো পারফর্ম করেছে। মুশফিক, রিয়াদ, তামিমের মতো সিনিয়ররা রান পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ছেলেরা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারছে।”

দুই জাতীয় নির্বাচকের সঙ্গে কোচ ডমিঙ্গো

টুর্নামেন্টে পেসারদের পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত অসাধারণ। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স বোলারদের উল্টো। কেবল মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারেননি। তরুণদের অনেকে প্রত্যাশিতভাবে মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। তবে এটা নিয়ে দুর্ভাবনা নেই ডমিঙ্গোর।

“ আবারও বলছি, সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছে ওরা, অনেক লম্বা বিরতি এটা। কোনো সংশয়ই নেই যে ওরা সময়ের সঙ্গে ভালো করবে। ছয়-সাত মাস আগেই এই ছেলেরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪০ করেছে। লিটন ১৮০ করেছে (১৭৬), তামিম দুটি সেঞ্চুরি করেছে। ম্যাচ খেলতে পারাই এখন গুরুত্বপূর্ণ, পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা আমার নেই।”

“ এসব ম্যাচ দিয়ে ছেলেদের মূল্যায়ন করা খুব কঠিন। নিজেদের মধ্যে খেলা এই টুর্নামেন্টকে ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবেই দেখছি আমি।”

সংবাদমাধ্যমকেও কোচ অনুরোধ করলেন, এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সকে খুব গুরুত্ব না দিতে।

“ এই টুর্নামেন্ট জিততেই হবে কিংবা মিডিয়া যেভাবে চায় সবসময়ই ছেলেদের পারফর্ম করতে হবে ও জিততে হবে, ছয়-সাত মাস পর নেমে এটা অবাস্তব কিছু। আমি চাইব মিডিয়া যেন ছেলেদের পাশে থাকে। সাত মাস না খেলার পর দশ দিনের ক্রিকেট দিয়েই যেন তাদের বিচার করা না হয়।”

পারফরম্যান্সের দিক থেকে একটি জায়গায় অবশ্য এই টুর্নামেন্ট দারুণ কাজে লাগছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো।

“ একটা ভালো দিক হলো, তরুণ ও নতুন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ মিলেছে। শরিফুল ইসলাম যেমন একজন। ভবিষ্যতে তাকিয়ে ফিজের (মুস্তাফিজ) সঙ্গে আরেকজন বাঁহাতি পেস বোলিংয়ের বিকল্প থাকবে।”

“ রিশাদ খুব ভালো বল করেছে। (তৌহিদ) হৃদয়, জয় (মাহমুদুল হাসান) ভালো খেলেছে। ইরফানকে (শুক্কুর) প্রথমবার দেখলাম। সবাইকে দেখার সুযোগ মিলেছে, সেদিক থেকে এই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা অমূল্য।”