নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে খেলতে পারবেন সাকিব। স্রেফ জিম্বাবুয়ে সিরিজটি ছাড়া অন্য সব সিরিজে সাকিববিহীন বাংলাদেশের ছিল যাচ্ছেতাই অবস্থা। নিষেধাজ্ঞার সময় সাকিব দুই সংস্করণে ছিলেন দলের অধিনায়ক। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, সব সংস্করণে ছিলেন দলের সেরা পারফরমার।
সাকিব ফেরার পর তাই তার কাছে যথারীতি প্রত্যাশা থাকবে আকাশছোঁয়া। এখানেই ধৈর্য ধরার অনুরোধ করলেন ডমিঙ্গো। ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কোচ বললেন, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের জন্যও লম্বা বিরতি শেষে ফেরার পর কাজটা খুব কঠিন।
“কালকেই তার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছে সে। আপাতত দেশের বাইরে আছে। অন্য সবার মতো সাকিবেরও ফেরার পর মানিয়ে নিতে সময় লাগবে কিছুটা। যদি আশা করে থাকেন ফেরার পর সরাসরিই বিশাল কোনো মিরাকল সে করে ফেলবে… তাকে নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে।”
“এক বছর ধরে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলেনি সে, মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছে। সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার, কিন্তু তারপর একটা পথ ধরে এগোতে হবে। অনুশীলনে থ্রো ডাউন এবং বোলিং মেশিনে খেলা আর ম্যাচে ১৪০ কিলোমিটার গতির বোলারকে খেলার মধ্যে পার্থক্য অনেক। পায়ের নিচে জমি খুঁজে পেতে ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে তারও কিছুটা সময় লাগবে। আমরা জানি, সে কোয়ালিটি ক্রিকেটার। আশা করি বাংলাদেশের হয়ে আগামী মৌসুম দুর্দান্ত কাটবে তার।”
সব ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব। অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষকে না জানানোয় গত বছর সাকিবকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।