দুবাইয়ের রোববার রাতের এই ম্যাচে মূল ম্যাচ হয় টাই, পরে সুপার ওভারও টাই। দ্বিতীয় সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব।
মূল ম্যাচে মুম্বাইয়ের ১৭৬ রান তাড়ায় শেষ ওভারে পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন দিপক হুডা, পরের বলে ক্রিস জর্ডানের ব্যাটের কানায় লেগে আসে চার রান।
কিন্তু শেষ চার বলে চার রানের সহজ সমীকরণ পাঞ্জাব মেলাতে পারেনি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। ১ রান নেওয়ার পর রান আউট হন জর্ডান। তার রান আউটের ধরনে অবশ্য প্রশ্নের অবকাশ থাকল বেশ। মূল পিচ রেখে অনেক দূর দিয়ে দৌড়েছেন তিনি, তাতে দূরত্ব বেড়ে গেছে কয়েক গজ। শেষ পর্যন্ত রান আউট তিনি হয়েছেন সামান্য ব্যবধানে।
এবার পাঞ্জাবের ক্রিস জর্ডানের করা ওভার থেকে মুম্বাই নেয় ১১ রান। সেটি তাড়ায় জিতে যায় পাঞ্জাব। ট্রেন্ট বোল্টের করা সুপার ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ক্রিস গেইল। পরের বলে নেন সিঙ্গেল। এরপর মায়াঙ্ক আগারওয়ালের টানা দুটি বাউন্ডারিতে শেষ হয় সব উত্তেজনার।
ম্যাচ শেষ হলেও সেটির রেশ রয়ে যায় অনেকক্ষণ। খেলোয়াড় হিসেবে, কোচিং স্টাফে কাজ করে ও ধারাভাষ্যকার-বিশেষজ্ঞ হিসেবে শুরু থেকেই আইপিএলের সঙ্গে আছেন ব্রেট লি। ছোট্ট টুইটে তিনি বলে দিয়েছেন এই ম্যাচের বিশালতা, “আইপিএলের সবসময়ের সেরা ম্যাচ।”
ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে সরাসরি না বললেও জানালেন প্রায় একই রকম মত, “এবারের আইপিএলের সেরা ম্যাচ… সত্যি বলতে, হয়তো সব আসর মিলিয়েই সেরা! দুই দলেরই সুযোগ ছিল, তারা হাতছাড়া করেছে। দুই দলই দারুণ পারফর্ম করেছে এবং সব মিলিয়ে চোখধাঁধানো এক ম্যাচ পেয়েছি আমরা।”
গতবছর ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মূল ম্যাচের পর সুপার ওভারও টাই হয়েছিল। বাউন্ডারির হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল জয়-পরাজয়। যুবরাজ সিংয়ের মনে পড়ে গেল সেই ম্যাচের কথা।
“ ২০১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচটি বেশি ভালো ছিল নাকি আজকের মুম্বাই আর পাঞ্জাবের ম্যাচ? অবিশ্বাস্য সব দৃশ্য… আইপিএল টিকে থাকবে… দুই দলই অসাধারণ করেছে।”
এই ম্যাচের আগে দিনের প্রথম ম্যাচটিও টাই হয়েছিল। সেখানে সুপার ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্স হারিয়ে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। উত্তেজনাময় দিনটি নিয়ে বিরেন্দর শেবাগ মজা করে লিখলেন, “এক দিনেই দুটি সুপার ওভার, খুবই অন্যায়! ২০২০ সালের সেরা ব্যাপার এই আইপিএল, সেটা উপযুক্ত কারণেই।”