তাণ্ডব চালিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বললেন, ‘আমিও নার্ভাস হই’

২২ গজে যেদিন ছন্দে থাকেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, তাকে মনে হয় অপ্রতিরোধ্য। চাপের লেশমাত্র দেখা যায় না তার ব্যাটিংয়ে। অথচ তিনিও নাকি চাপে পড়েন! নিজের দিনে তিনি পাত্তা দেন না দুনিয়ার কোনো বোলারকেই। কিন্তু নিজেই বলছেন, বোলারদের তিনি দারুণ সম্মান করেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2020, 06:06 AM
Updated : 18 Oct 2020, 06:06 AM

আইপিএলে শনিবার ২২ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে শেষ ২ ওভারে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ১৯তম ওভারে জয়দেব উনাদকাটের বলে টানা তিনটি ছক্কা মারেন ডি ভিলিয়ার্স। শেষ ওভারে ৩ বলে যখন প্রয়োজন ৫ রান, তখন জফ্রা আর্চারকে ছক্কা মেরে সমাপ্তি টানেন যাবতীয় উত্তেজনার।

এতটা চাপের সময়ও তাকে দেখা গেছে অবলিলায় ব্যাট চালাতে, নির্লিপ্ত হয়ে বোলারদের গুঁড়িয়ে দিতে। এবারের আইপিএলে এর আগে ৩৩ বলে ৭৩, ২৪ বলে ৫৫, ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস তিনি খেলেছেন। তার ব্যাটিংয়ে ভয়ডরের চিহ্ন চোখে পড়ে না কখনোই।

শনিবারের ম্যাচ শেষে এটি নিয়েই জানতে চাইলেন ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। হাসতে হাসতে ডি ভিলিয়ার্স বললেন, “প্রচণ্ড নার্ভাস ও অস্থির হই আমি। আরও অনেক কিছু হয়ে যায় ভেতরে।”

ভোগলের তখন পাল্টা জিজ্ঞাসা, “আপনি তো সবসময়ই এটা বলেন, কিন্তু কখনোই ব্যাটিংয়ে সেটির প্রতিফলন পড়ে না!”

এবার ডি ভিলিয়ার্সের উত্তর, “আমি চেষ্টা করি লুকাতে (হাসি)। সত্যি বলতে, আমিও ভীষণ চাপ অনুভব করি। যে কোনো ক্রিকেটারই এসব মুহূর্তে চাপে থাকে। নিজের পারফরম্যান্সে আমি গর্ব খুঁজে নেই। দলের জয়ে বড় অবদান রাখতে চাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষকে দেখাতে চাই, আমি এখানে আছি উপযুক্ত কারণেই। তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।”

“ এছাড়াও আমার পরিবার, বন্ধুরা, আমার সব ভক্ত এবং অবশ্যই আমার নিজের জন্য, প্রতিটি ম্যাচেই চাই ভালো করতে। গত ম্যাচে ভালো করিনি, আজ করতে পেরে ভালো লাগছে।”

এবারের টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ২৮৫ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স, তার ব্যাটিং গড় ৫৭, স্ট্রাইক রেট ১৯০। এখনও পর্যন্ত একশ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই স্ট্রাইক রেটের ধারেকাছে নেই কেউ। ৯ ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ১৯টি, চার ২১টি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিন বার।

তাকে ব্যাট হাতে ক্রিজে দেখলেই অনেক বোলারের বুকে কাঁপন ধরার কথা। ভয় থেকেও বাজে বল করে বসেন অনেকে। এটি কি তার পক্ষে যায়? ডি ভিলিয়ার্স বললেন, বোলারদের তিনি যথেষ্ট সমীহ করেন।

“আমি কখনও সেভাবে ভাবি না। স্রেফ নিজেকে মেলে ধরতে চাই, উপস্থিতি জানান দিতে চাই। নিজের পরিকল্পনায় অটল থাকি। এটা বুঝিয়ে দেই যে, আমাকে আউট করতে না পারলে আমি হুমকি হয়ে উঠব।”

“এটা আসলে ইঁদুর-বিড়াল খেলার মতো। বোলারদের অবশ্যই সমীহ করি আমি। ভালো বল করলে তারা এগিয়ে থাকে। তখন আমি চেষ্টা করি সম্ভব যে কোনো উপায়ে সেটি বদলে দিতে। সৌভাগ্যক্রমে আজকে যেমন পেরেছি।”