৯ ক্রিকেটারের কাণ্ডে হতাশ পাকিস্তানের বোর্ড

ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভেঙে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের ৯ ক্রিকেটার ও ৩ কর্মকর্তা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এতে হতাশা প্রকাশ করে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, আবার কেউ এমন কিছু করলে তাকে কেবল এই টুর্নামেন্ট থেকেই বের করে দেওয়া হবে না, ফল ভোগ করতে হবে ভবিষ্যতেও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 06:48 AM
Updated : 17 Oct 2020, 08:26 AM

রাওয়াপিন্ডিতে টিম হোটেল ও স্টেডিয়ামে জৈব-সুরক্ষা বলয় তৈরি করে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি হচ্ছে। ওই ক্রিকেটার-কর্মকর্তাদের সুরক্ষা বলয় ভাঙার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর স্বীকার করেছে পিসিবিও।

পিসিবির হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক নাদিম খান বলেছেন, এবার কেবল সতর্ক করে ছাড় দেওয়া হলেও সামনে এ ধরনের ঘটনায় কেউ পার পাবে না।

“পিসিবি খুবই সংবিগ্ন ও হতাশ যে, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন। এটা করে তারা টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তাদের সতীর্থদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।”

“পিসিবির কাছে এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সামনে সুরক্ষা বলয় ভাঙার ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না এবং কেউ ভাঙলে তাকে চলতি আসর থেকে ও ভবিষ্যতেও টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে।”

এই ঘটনায় জড়িত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি পিসিবি। তবে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে তাদের নাম। ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ হাফিজ, ইয়াসির শাহ, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, খুররম মঞ্জুর, কামরান আকমল, সোহেল খান, আনোয়ার আলি ও উসমান খান শিনওয়ারি। তিন কর্মকর্তা সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি, আব্দুল রাজ্জাক ও রশিদ খান।

ঘটনার পর ১২ জনেরই কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং সেটির খরচ বহন করতে হয়েছে তাদেরকেই। সবার ফল নেগেটিভ এসেছে।