‘বিগ ফোর’ বলা হয়ে আসছে মূলত একই প্রজন্মের চার ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন ও জো রুটকে। বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বছরের পর বছর দাপট দেখিয়ে চলেছেন তারা। গত কিছুদিন ধরে অবশ্য রুটের জায়গায় বাবর আজমকে ‘বিগ ফোর’-এ রাখছেন অনেকে।
ডি ভিলিয়ার্সের আবির্ভাব ওই পাঁচজনেরই বেশ আগে। ২০০৪ সালে শুরু হয় আন্তজার্তিক ক্রিকেটে তার পথচলা। কোহলিরা দৃশ্যপটে আসার আগেই তিনি হয়ে গেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকা। তবে এটিও সত্যি, কোহলি-স্মিথদের রান জোয়ারের সময়টায়ও ডি ভিলিয়ার্স দাপট দেখিয়ে গেছেন ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে।
এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অসাধারণ সব ইনিংস ঠিকই আসছে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে। কদিন আগেই আইপিএলে ভীষণ দুরূহ উইকেটে ৩৩ বলে ৭৩ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন তিনি, যেটি দেখার পর কোহলি তার সম্পর্কে বলেছেন ‘সুপারহিউম্যান।”
“ স্মিথ, উইলিয়ামসন, কোহলি, বাবর/রুটকে ঘিরে ‘বিগ ফোর’ নিয়ে যে কখনও কখনও আলোচনা, তা খুবই হাস্যকর। কারণ এবি ডি ভিলিয়ার্স তাদের সবার চেয়ে ভালো।”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১৪ টেস্ট ও ২২৮ ওয়ানডে খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। দুটিতেই তার ব্যাটিং গড় পঞ্চাশের বেশি। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি সব আসরেই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিতদের একজন। বিশ্বজড়ে ক্রিকেট অনুসারীদের মধ্যে তিনি প্রবল জনপ্রিয় তার ব্যাটসম্যানশিপের কারণে। ক্রিকেট বইয়ের সব শট যেমন তার আছে, তেমনি অপ্রথাগত সব শটে নাকাল করে ছাড়েন বোলারদের। মাঠের সব প্রান্তে খেলার অসাধারণ সামর্থ্যের জন্য তাকে ‘মি. ৩৬০ ডিগ্রি’ বলেও ডাকা হয়।