দুবাইয়ের এই ম্যাচে রাজস্থনের রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারে দেখা যায় নরকিয়ার গতি আর জস বাটলারের পাল্টা আক্রমণের রোমাঞ্চকর ক্রিকেট।
ওভারের প্রথম বলটি ছাড়ায় ১৪৮ কিলোমিটার, দুর্দান্ত শটে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ান বাটলার। পরের দুটি বলই ছাড়িয়ে যায় ১৫২ কিলোমিটার, দুটিতে আসে দুটি সিঙ্গেল। চতুর্থ বলটি ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির, চোখধাঁধানো র্যাম্প শটে বাউন্ডারি মারেন বাটলার।
এরপরই নরকিয়ার সেই ডেলিভারি। টিভি পদায় ফুটে ওঠে গতি, ১৫৬.২ কিলোমিটার! তবে এবারও অসাধারণ এক র্যাম্প শটে চার মারেন বাটলার।
এই দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত জেতেন নরকিয়াই। ওভারের শেষ বলটি ছিল আরেকটি গোলা, ১৫৫.১ কিলোমিটার। বাটলার কিছু করার সময়ই পাননি। তাকে ফাঁকি দিয়ে চোখের পলকে বল এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। ফাস্ট বোলারের স্বভাবজাত হুঙ্কারে উইকেট উদযাপন করেন নরকিয়া।
ম্যাচের পর ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস নরকিয়াকে জানান ওই গতির কথা। হাসিমুখে তিনি জানান প্রতিক্রিয়া।
“ জানতাম না যে আজকে ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেছি। জেনে ভালো লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ভালো অনুভব করছিলাম। ফল পেয়ে তাই দারুণ লাগছে। জস বাটলার দারুণ খেলছিল। আমি হয়তো একটু বেশিই ফুল লেংথে করছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, নিজের শক্তির জায়গায়, স্টাম্প সোজা যত জোরে সম্ভব বল করে যাওয়াই উচিত।”
বাটলারের পরে গতিময় এক ইয়র্কারে রবিন উথাপার উইকেটও নিয়েছেন নরকিয়া। ম্যান অব দা ম্যাচও হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার।
শুধু নরকিয়াই নয়, গোটা ম্যাচেই দেখা গেছে গতির প্রদর্শনী। নরকিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা ও দিল্লি সতীর্থ কাগিসো রাবাদা স্পর্শ করেছেন ১৫০ কিলোমিটার। রাজস্থানের জফ্রা আর্চার তো ১৫০ কিলোমিটার ছুঁয়েছেন নিয়মিতই।
নরকিয়া এবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকসের বদলী হিসেবে। সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন তিনি দারুণভাবে। ৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১০টি। পরিসংখ্যানে পুরোটা বোঝা যাচ্ছে না তার প্রভাব। গতিময় ও আগ্রাসী বোলিংয়ে তিনি নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সব উইকেট।