আইপিএলে বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে বড় রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ধুঁকছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কিন্তু টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরান পুরান। উইকেটে যাওয়ার পরপরই ছক্কা মারেন বাঁহাতি পেসার থাঙ্গারাসু নাটরাজানকে। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার অভিষেক শর্মাকে মারেন টানা দুই ছক্কা।
পরে লেগ স্পিনার আব্দুল সামাদের এক ওভারে চার ছক্কা ও ১ চারে পুরান নেন ২৮ রান। ফিফটি স্পর্শ করে ফেলেন ১৭ বলেই।
তবে স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে খুব বেশি দূর আর এগোতে পারেননি পুরান। সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তার ওপর বাড়তে থাকে চাপ, পরে তিনি পেরে ওঠেননি রশিদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে।
৩৭ বলে ৭ ছক্কায় ৭৭ করে থামে পুরানের ইনিংস। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে রশিদ নেন ৩ উইকেট। হায়দরাবাদ জেতে ৬৯ রানে।
হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার ম্যাচ শেষে বললেন, একটা পর্যায়ে তার মনে কাঁপন ধরিয়েছিলেন পুরান।
“ উপভোগ্য ম্যাচ ছিল। তবে চার ওভারের মতো বাকি থাকতে খানিকটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, যখন পুরান বল মাঠের বাইরে আছড়ে ফেলছিল। বাংলাদেশে আমি তার সঙ্গে খেলেছি। সে যখন এভাবে ক্লিন হিট করা শুরু করে, তখন কঠিনভাবেই ভাবতে হয়।”
“ রশিদ অবশ্যই দুর্দান্ত বোলার, অনেক সম্মানও পায় সে। বিশ্বমানের বোলার সে, তার মতো একজনকে দলে পাওয়া দারুণ।”
২০১৯ বিপিএলে ওয়ার্নার ও পুরান একসঙ্গে খেলেছেন সিলেট সিক্সার্সে। চোট নিয়ে ফিরে যাওয়ার আগে সিলেটকে যে ৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্নার, তার ৫টিতেই দেখা গেছে পুরানের ব্যাটিং ঝলক। ক্যারিবিয়ান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ২৬ বলে ৪১, ৩২ বলে ৫২, ৯ ছক্কায় ৪৭ বলে ৭২, ১৬ বলে ২৬, ২৭ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে বিপিএলের ওই আসরে প্রায় ১৬০ স্ট্রাইক রেটে পুরান করেছিলেন ৩৭৯ রান।