বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘ইয়ো-ইয়ো টেস্ট’

অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করা হচ্ছে বিপ টেস্ট দিয়ে। তবে এবার হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলনের প্রথম দিনে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা দেখা হয়েছে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট দিয়ে। জাতীয় দলেও এখন বিপ টেস্টের বদলে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2020, 04:04 PM
Updated : 8 Oct 2020, 04:04 PM

বিপ টেস্ট ও ইয়ো-ইয়ো টেস্ট অনেকটা কাছাকাছিই। মূল পার্থক্য, বিপ টেস্টে বিভিন্ন ধাপে দৌড়াতে হয় টানা। ইয়ো-ইয়ো টেস্টে বিভিন্ন ধাপের মধ্যে ৫-১০ সেকেন্ড বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকে, তবে ধাপগুলোতে পর্যায়ক্রমে কমে আসে দৌড়ানোর সময়।

শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য অনেক খেলাতেও খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরখ করা হয় এই দুই পদ্ধতির কোনো একটি দিয়ে। ক্রিকেট বিশ্বে এমনিতে গত কয়েক বছরে বেশির ভাগ দেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্টই বেশি প্রচলিত। তবে অনেক ক্রিকেটারের মতে, বিপ টেস্ট তুলনামূলক একটু বেশি কঠিন। কার্যকারিতা অবশ্য নির্ভর করে একেক দেশের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একেকরকম।

এবার বিসিবির এইচপি স্কোয়াডের অনুশীলন শুরুর দিনে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট হয়েছে ক্রিকেটারদের। এইচপির স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ তুষার কান্তি হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, নতুন এই পরীক্ষায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভালো।

“বিপ টেস্ট মূলত এনডিউরেন্স টেস্ট, আর ইয়ো-ইয়ো টেস্ট হলো এয়ারোবিক এনডিউরেন্স টেস্ট। বাংলাদেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট এবারই প্রথম হলো আমার জানা মতে।”

“নতুন কিছুতে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগেই। তারপরও ছেলেরা সবাই বেশ ভালো করেছে। আমি বলব না যে খুব দারুণ কিছু বা বিশ্বমানের ছিল ওদের পারফরম্যান্স। তবে সবারই বেশ সন্তোষজনক ছিল।”

বাংলাদেশে সব পর্যায়ের ক্রিকেটে এতদিন বিপ টেস্টই চালু ছিল। বিসিবির ‘হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স’ হিসেবে নিকোলাস লি যোগ দেওয়ার পর এবার এইচপিতে শুরু হলো ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। এই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের জন্যও ইয়ো-ইয়ো টেস্ট চালু হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিকোলাস লি অবশ্য জানালেন, এখনও তারা কিছু চূড়ান্ত করেননি।

“অনেক বিকল্পই আমাদের হাতে আছে, ইয়ো-ইয়ো টেস্ট সেগুলোর একটি। আমরা এখনও কিছু চূড়ান্ত করিনি।”

বিভিন্ন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের ন্যূনতম মানদণ্ড বিভিন্নরকম। ভারতে এটি ১৬.১, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ১৭.৪, ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডে ১৯।