গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ক্রিকেটার আছেন ২৫ সদস্যের এই এইচপি দলে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবার থেকে শুরু হবে এইচপি দলের অনুশীলন। এর মধ্যেই কারোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন দলের সবাই, তাদেরকে রাখা হয়েছে মিরপুর একাডেমি ভবনে। প্রথম দফায় তাদের ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এরপর ওয়ানডে সিরিজের দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন নিজ নিজ দলে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে আবার শুরু হবে অনুশীলন কার্যক্রম।
চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে এইচপি দলে ডাকা হয়েছে ক্রিকেটারদের। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনকে রাখা হয়েছে ব্যাটসম্যান ক্যাটাগরিতে, আরেক অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান আছেন স্পিনার ক্যাটাগরিতে।
সবচেয়ে বেশি, ৯ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে পেসারদের ক্যাটাগরিতে। তাদের মধ্যে খানিকটা চমক জাগানিয়া নাম আছে দুটি, নোমান চৌধুরি সাগর ও রেজাউর রহমান রাজা। দুজনই ডানহাতি পেসার।
জাতীয় লিগে চট্টগ্রামের হয়ে ৪টি ও পূর্বাঞ্চলের হয়ে ১টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯ বছর বয়সী নোমান। ৫ ম্যাচে তার প্রাপ্তি ৭ উইকেট। সিলেট ও পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২১ বছর বয়সী রেজাউর নিয়েছেন ২০ উইকেট। গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে নিয়েছিলেন তিনি ৪ উইকেট।
ভিসা জটিলতায় এখনও ঢাকায় আসতে পারেননি এইচপি দলের প্রধান কোচ টবি র্যাডফোর্ড। তিনি আসার আগ পর্যন্ত স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানেই চলবে অনুশীলন।
এইচপি স্কোয়াড:
ব্যাটসম্যান: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুল হাসান, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়।
স্পিনার: মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ, তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান।
পেসার: শরিফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, শাহিন আলম, সুমন খান, নোমান চৌধুরি সাগর, অভিষেক দাস, রেজাউর রহমান রাজা।
উইকেট-কিপার: মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আকবর আলি।