টিভিতে দেখা যাবে বিসিবির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট

বিসিবির পরিকল্পিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টিভিতে। এটি কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি হবে নাকি বিসিবির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দল খেলবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি হবে এই টুর্নামেন্ট, জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2020, 02:40 PM
Updated : 6 Oct 2020, 02:40 PM

কিছুদিন আগে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল বিসিবি। কোভিড-১৯ বিরতির পর দেশের ক্রিকেট কার্যক্রম স্বাভাবিক করে তোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ। এর মধ্যেই ক্রিকেটাররা দুটি দুই দিনের ম্যাচ খেলেছে নিজেদের মধ্যে। আগামী রোববার শুরু হচ্ছে তিন দলকে নিয়ে ওয়ানডে সিরিজ, যেখানে সব ম্যাচ হবে দিন-রাতের। ক্রিকেটারদের তিন দলে ভাগ করে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। 

এরপরই আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান সোমবার বিসিবিতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, টুর্নামেন্ট বাস্তবায়নের কাজ অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে বোর্ড।

“নভেম্বরের মাঝামাঝি হবে এই লিগ। এটা কর্পোরেট লিগ হবে নাকি বিসিবি স্পন্সরড হবে, তা আমরা চূড়ান্ত করিনি। কিন্তু একটা যে হতে যাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আজকে মূলত একটা আলোচনা ছিল যে বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়া হবে কিনা। এই সিদ্ধান্ত আমি দিতে পারিনি আজকে, সময় নিয়েছি। বলেছি, কাল-পরশুর মধ্যে ওদেরকে জানাব।”

“এছাড়া মোটামুটি সবই ফাইনাল, আমরা ৫টা দল নিয়ে টুর্নামেন্টটা করতে ইচ্ছুক। ৫টা দল হলে আমরা দেখেছি ৭৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটার। ৭৫ জন ক্রিকেটার হলে ঠিক আছে। আমরা যে ধরনের চিন্তা ভাবনা করেছি, ওই ধরনের একটা টুর্নামেন্ট আমরা করতে পারব।”

টুর্নামেন্টের আগে হবে ক্রিকেটারদের নিলাম। বিদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হলে কিভাবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। আরও কিছু সিদ্ধান্ত শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।

“এটাই আলোচনা হচ্ছে। যেমন ধরেন, পুরোটাই কর্পোরেট হবে কিনা অকশনে, বিদেশি ক্রিকেটার থাকলে অকশনে হবে নাকি ওপেন করে দেওয়া হবে, যার যার মতো নিয়ে আসবে, এই জিনিসগুলো চূড়ান্ত হয়নি। তবে অকশনই হবে। বিদেশি ক্রিকেটারের ব্যাপারটা আদৌ হবে কিনা, নিলে কয়জন করে, এরপর ওপেন থাকবে নাকি আমরা পুল দিয়ে দিব, এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়নি।”

“তিন জনের (কর্পোরেট হাউজ) সাথে কথা হয়েছে আমাদের, তিন জনই আগ্রহী। আসলে আমরা যাদের কাছে গিয়েছি, তারা কোনো না কোনোভাবে আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা যেহেতু খুব কম বাজেটের, বিপিএলের মতো অনেক টাকা বাজেটের করা হয়নি, সুতরাং আমার মনে হয় না সমস্যা হবে।”

তবে গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারলেন না নাজমুল হাসান।

“সমস্যা হতে পারে লিগ (ঢাকা লিগ) চালু করা নিয়ে। লিগ চালু করতে অবশ্যই আমি এক পায়ে খাড়া। দুটো জিনিস জানতে চাই। প্রথমত, ক্লাবগুলো আগ্রহী কিনা। কারণ খেলবে তো ওদের দল, ওদের ক্লাব, ওদের খেলোয়াড় ওদেরই ম্যানেজ করতে হবে। ওরা যদি না পারে বা ওরা যদি আগ্রহী না থাকে, তাহলে কী ফর্মুলা হবে, ওটা জানাও।”

“দ্বিতীয়ত হলো, ক্রিকেটাররা যেখানেই থাক, ক্লাবগুলোর অধীনে বা আমাদের অধীনে কিংবা ম্যানেজমেন্টে থাক, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তায়, করোনায় আক্রান্ত যাতে না হয়, এক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমি মাঠ পর্যন্ত দিলাম, এরপর ছেড়ে দিলে ওরা কি বাসায় যাবে নাকি কোথায় রাখবে, এ জিনিসগুলো দেখবে কে? এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা যদি আমাকে দিতে পারে, আমার কোনো আপত্তি নাই।”