আত্মবিশ্বাস ফিরছে সাদমানের

এনসিএলে সেঞ্চুরির আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে ছিলেন ব্যর্থ। পরে লড়তে হয়েছে চোটের সঙ্গে, সেরে উঠতে করাতে হয়েছে অস্ত্রোপচার। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকা সাদমান ইসলামের স্টান্সেও পরিবর্তন এনেছেন কোচ। সব মিলিয়ে নতুন শুরুর একটা অনুভূতি হচ্ছে বাঁহাতি এই ওপেনারের। অনুশীলন ম্যাচে ফিফটির পর জানালেন, ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে তার আত্মবিশ্বাস। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2020, 01:36 PM
Updated : 6 Oct 2020, 01:36 PM

দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচের শেষ দিন ৯৯ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রান করেন সাদমান। তার ও তামিম ইকবালের সৌজন্যে ওটিস গিবসন একাদশকে হারায় রায়ান কুক একাদশ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে সাদমান জানান, লম্বা বিরতির পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এমন একটা ইনিংসের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি।

“দেশের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছি ভারতের বিপক্ষে। গত ডিসেম্বরে বিপিএলে খেলার পর থেকে ৯-১০ মাস ছিলাম মাঠের বাইরে। এখানে প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই ভালো করার খুব ইচ্ছে ছিল। একটু হলেও পেরেছি এবং মনে হচ্ছে আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেয়েছি।”

সারাদিন ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন সাদমান। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই মিরপুরে ছিল তুমুল বৃষ্টি। দিনের অর্ধেক সময় বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বদলে যায় ম্যাচের রূপ। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ তখন হয়ে যায় ওয়ানডে। ৪৩ ওভারে রায়ান কুক একাদশকে লক্ষ্য দেওয়া হয় ২০০। স্বাভাবিকভাবেই লাল বলে ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করতে হয়েছে সাদমানদের।

“তামিম ভাই স্বাভাবিক ব্যাটিং করার পরামর্শ দেন। আমি সেভাবেই করেছি। আমি ও তামিম ভাই শতরানের ওপেনিং জুটি গড়ি। সেট হওয়ার জন্য প্রথমে একটু সময় নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমরা সহজেই ম্যাচটা বের করতে পেরেছি।”

দুই অনুশীলন ম্যাচে সবার খেলায় খুশি সাদমান। সবার মধ্যে ভালো করার তাড়ানা ভালো লেগেছে এই তরুণের।

“আমরা তো অনেক দিন ধরেই অনুশীলন করছিলাম। সবাই খুব সিরিয়াস ছিলাম। কোচ আসার আগেও আমরা অনুশীলন করেছি। কোচ আসার পর দলীয় অনুশীলনে সবাই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের জায়গায় অনেক কাজ করেছে। সবাই চেষ্টা করেছি নিজেকে যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করার জন্য। দুই ম্যাচেই আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।”