আইপিএলে সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের তৃতীয় ওভারে অশ্বিন বল করার আগেই নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ফিঞ্চ। অশ্বিনের সামনে সুযোগ ছিল রান আউট করার। সাধারণত এই সুযোগ তিনি ছাড়েন না। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো চিত্র। আউট না করে তিনি আবার ফিরে যান বোলিং মার্কে।
এই ঘটনা আলোচনায় জন্ম দেয় তুমুল। এর আগে এই আউট করেছেন অশ্বিন, শিকার হয়েছেন সমালোচনার। কিন্তু এই আউটের পক্ষে নিয়ম ও যুক্তি দিয়ে তিনি উচ্চকিত থেকে নিজের অবস্থানে।
এই ম্যাচের ঘটনায় তাই কৌতূহল জাগে, তবে কি অবস্থান বদলেছে অশ্বিনের? ম্যাচ শেষে টুইটারে এই অফ স্পিনার নিজেই মিটিয়েছেন কৌতূহল।
“ স্পষ্ট করে দিতে চাই, ২০২০ সালের প্রথম ও শেষ হুঁশিয়ারি এটাই! আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলাম, পরে যেন আমাকে আবার দোষ দেওয়া না হয়! আর হ্যাঁ, আমি ও অ্যারন ফিঞ্চ বেশ ভালো বন্ধু।”
এই টুইটে অশ্বিন ট্যাগ করেছেন তার আইপিএল দলের কোচ রিকি পন্টিংকেও। এবারের আসর শুরুর আগে পন্টিং বলেছিলেন, তিনি মানকাড আউট দেখতে চান না এবং এটা নিয়ে অশ্বিনের সঙ্গে জোর আলোচনা করবেন। পরে অবশ্য অশ্বিনের ইউটিউব শোতে এটি নিয়ে দুজনের আলোচনা হয়। তখন অশ্বিনের যুক্তি উপলব্ধি করে পন্টিং কথা বলেছিলেন তার পক্ষেই।
এবার অশ্বিন যখন ফিঞ্চকে আউট না করে ছেড়ে দিলেন, ডাগ আউটে তখন পন্টিংকে হাসতে দেখা যায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে।
ধারাভাষ্যকক্ষে তখন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক পেসার সাইমন ডুল বলেন, ‘দিস ইজ ব্রিলিয়ান্ট… সতর্ক করে দেওয়া হলো তাকে… ফেয়ার এনাফ। তবে অশ্বিন এটা করলেও আমার কোনো আপত্তি থাকত না। বোলারের পা লাইনের মিলিমিটার সামনে গেলেও নো-বল ডাকা হয়। ব্যাটসম্যানের তাই কোনো অধিকার নেই বোলার বল ছাড়ার আগে এগিয়ে যাওয়ার।”
পাশ থেকে আরেক ধারাভাষ্যকার ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার মাইকেল স্ল্যাটার জানান তার মত, “অশ্বিন ঠিক কাজই করেছে, সতর্ক করে দিয়েছে। আমি এটায় সমস্যা দেখি না।”
ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা ভারতীয় কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কারও তখন তুলে ধরেন নিজের ভাবনা, “ব্যাটসম্যান তো কখনও বোলারকে সতর্ক করে দেয় না যে ‘আমি এখন তোমাকে ছক্কা মারব!’ তারা বল দেখে শট খেলে দেয়।”
মানকাড আউটের সুযোগ আছে ক্রিকেটের আইনেই। তবে অনেকেই এটিকে দেখেন অন্যায় বা ক্রিকেটের স্পিরিটের বাইরের হিসেবে। অনেকেই আবার এটির পক্ষে। এই নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।