আবার উজ্জ্বল তাসকিন, ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 05 Oct 2020 06:29 PM BdST Updated: 05 Oct 2020 06:29 PM BdST
ডাগআউটে কোচিং স্টাফের সবাই, গ্যালারিতে দুই নির্বাচক। বিসিবি কর্তাদের কয়েকজনের আনাগোনাও দেখা গেল। সবার চোখ এই ম্যাচে। ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহর মতো যারা টেস্ট দলের বাইরে, তাদের জন্য তাই ম্যাচটি ভালো সুযোগ কিছু করে দেখানোর। দুজনই রান পেলেন, ফিফটি পেরোলেন। কিন্তু পারলেন না বড় কিছু করে নাড়া দিতে। তবে তাসকিন আহমেদ ধরে রাখলেন দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তাসকিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। উইকেটে খুব বেশি কিছু ছিল না পেসারদের জন্য। নতুন বলে তবু আগুন ঝরা বোলিং উপহার দিয়েছেন নিজেকে নতুন করে চেনানোর চেষ্টায় থাকা এই ফাস্ট বোলার।
ম্যাচ অনুশীলনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় এই দুই দিনের ম্যাচের প্রথম দিনে সোমবার ওটিস গিবসন একাদশ করেছে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে খেলা হয়েছে ৭২ ওভার।
ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রান। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৫৬ আর লিটন দাস ৪৪। তিনজনেরই বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়েছে নিজেদের ভুলে।

সকালে বৃষ্টির পর খানিকটা মেঘলা আবহাওয়ায় শুরু হয় খেলা। তাসকিন শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন সাইফ হাসানকে। ওয়াইড থার্ড স্লিপে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন তাইজুল।
একটু পর তাসকিনের শিকার তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। অফ স্টাম্পে পিচ করে অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া গতিময় বল শান্তর ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় দ্বিতীয় স্লিপে ইয়াসির আলির হাতে।
তাসকিন ভুগিয়েছেন ইমরুলকেও। তার প্রথম স্পেল ছিল ৫-১-১৩-২।
তাসকিন আক্রমণ থেকে সরে যাওয়ার পর ইমরুল ও চারে নামা মাহমুদউল্লাহ খেলতে থাকেন স্বচ্ছন্দে। নতুন বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ।
তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে ফেরার পর ইমরুল চেষ্টা করেন জবাব দিতে। দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে ফিফটি স্পর্শ করার পর শর্ট বলে চোখধাঁধানো এক পুল শটে বাউন্ডারি মারেন আরেকটি। তবে দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত জিতেন তাসকিন।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে পুল করেছিলেন ইমরুল। টাইমিং করতে পারেননি ঠিকমতো, ব্যাটের নিচের দিকে লেগে বল যায় বোলারের দিকে। ফলো থ্রুতে সামনে ডাইভ দিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন তাসকিন।
ইমরুল অবশ্য মোটেও খুশি ছিলেন না আউটের সিদ্ধান্তে। বারবার ইঙ্গিত করছিলেন, তাসকিনের হাতে জমার আগে মাটি স্পর্শ করেছে বল। তবে দুই আম্পায়ার আলোচনা করে আউটের সিদ্ধানই বহাল রাখেন। ইমরুল মাঠ ছাড়তে চাচ্ছিলেন না তারপরও।
এরপর মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাসও এগোচ্ছিলেন সাবলিলভাবেই। এই জুটিও ভাঙে বাজে শটে। সাইফ উদ্দিনের স্টাম্প সোজা বল ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ।
লিটন যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, অস্বস্তিতে পড়েননি একটুও। তার ৪৪ রানের ইনিংসে চার তিনটি, এক-দুই নিয়ে এগোচ্ছিলেন ভালোভাবেই। আল আমিনের যে শর্ট বলে তিনি আউট হলেন, ওই গতির বলটি হয়তো খেলতে পারতেন অনসাইডের যে কোনো প্রান্তে। কিন্তু তিনি ক্যাচ তুলে দিলেন মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে।

ছয়ে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন একটা প্রান্ত আগলে দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকে।
শেষ দিকে বল হাতে আবারও চমক দেখিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। এমনিতে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হলেও আউট করেছেন নাঈম হাসান ও ইবাদত হোসেনকে। নিরীহ দর্শন অফ স্পিনে আগের ম্যাচেও তিনি নিয়েছিলেন দুই উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওটিস গিবসন একাদশ: ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ (সাইফ ৭, ইমরুল ৫৯, শান্ত ২, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪, সৌম্য ২৬, মোসাদ্দেক ২৯*, নাঈম ৮, ইবাদত ০, রুবেল ০*; তাসকিন ১১-২-৪২-৩, সাইফ উদ্দন ১১-১-৪২-১, খালেদ ১১-১-৩১-০, আল আমিন ১০-৩-৩৬-১, তাইজুল ২৬-৪-৭৬-১, মিঠুন ৩-১-১০-২)।
সর্বাধিক পঠিত
- শেবাগ ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশের সাবেকরা
- বার্সা কোচ কুমানের চাওয়া রিয়ালের জয়!
- ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ বিলবাও
- ভারতে ‘প্রেম করায়’ বাবার হাতে মেয়ের শিরশ্ছেদ
- দলের ওপর চাপ কমাতে বললেন মাশরাফি
- কোর্তোয়া বনাম ওবলাক: লড়াইটা তাদেরও
- ‘সব সময়ের সেরাদের একজন হবে পান্ত’
- ঘরে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ, পাশে ‘সুইসাইড নোট’
- ‘স্মিথ রাজি থাকলে তাকেই অধিনায়ক করা উচিত’
- পান্তের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ভারতের লিড